Kolkata: একলাফে কমবে ভ্যাপসা গরমের তীব্রতা, কলকাতাবাসীদের জন্য অভিনব উদ্যোগ ফিরহাদ হাকিমের

কলকাতায় গাছ লাগানো ভীষণ দরকার। প্রতিবছর যেভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে, তাতে অনেক গাছ উপড়ে পড়ে যাচ্ছে। ২০২০ এবং ২০২২ সালে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল তার পরেও রেমাল ঝড়ের দাপটে কলকাতা পুরসভার বনসৃজন প্রকল্পের কাজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিকল্প উপায় বৃক্ষরোপণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার সাংবাদিক বৈঠকে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

কলকাতাকে দূষণমুক্ত করার জন্য এখন একটাই উপায় বৃক্ষ রোপন করা। কারণ প্রতিবছর দুর্যোগে যে পরিমাণে গাছ উপড়ে যায় সেই পরিমাণ গাছ আবার লাগাতে হবে, না হলে কলকাতায় দূষণের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে, গোটা বিশ্বের কাছে এখন এটা একটা সমস্যা। কিন্তু সেই সমস্যার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।

বামফ্রন্টের সময় কলকাতায় প্রথম বনসৃজন এর কাজ শুরু হয়, তখন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই কাজ করা শুরু হয়েছিল। তবে দ্রুত যদি বনসৃজন করতে হয় সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা অন্য পরামর্শ দিচ্ছেন তারা বলছিলেন, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সুপারি, কদম ফুলের গাছ বেশি সংখ্যায় লাগানো। এই গাছগুলোর মূল খুব একটা মাটির ভিতরে প্রবেশ না করার জন্য হালকা ঝড়েতেই উপড়ে যেতে পারে। সেই জন্য মেয়র ফিরাদ হাকিম, বিকল্প বৃক্ষের সন্ধান করতে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের উপরে দায়িত্ব দিয়েছেন।

কলকাতার বনসৃজন নিয়ে কি ভাবনা চিন্তা রয়েছে?

রাজস্থানে সফরে গিয়ে সেখানকার নিম গাছ দেখে সেই বিষয়ে চেয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এখানে গিয়ে দেখতে পান ছোট ছোট নিম গাছ হয়েছে এবং সেখানে সেখানকার আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন যে এই ধরনের গাছগুলো আকারে খুব একটা লম্বা হয় না, কিন্তু এদের মূল মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করে। তারপরে সেই গাছ রাজস্থান থেকে আনানোর ব্যবস্থা করা হয় এবং ইতিমধ্যে কলকাতায় বেশ কয়েকটি রাজস্থানী নিম গাছ লাগানো হয়েছে।

আর কি কি গাছের উপর জোর দিয়েছে কলকাতা পুরসভা?

তবে শুধুমাত্র যে নিম গাছ আনা হবে তা নয়, মাটির গভীরে যে সমস্ত গাছের শিকড় পৌঁছে সেই সমস্ত গাছের প্রতি জোর দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা, যেমন কাঁঠাল, দেবদারু ইত্যাদি গাছকে কলকাতায় লাগানো হবে। আমফান ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২০২২ সালের মে মাসে প্রায় ৫০০০ গাছ নষ্ট হয়, তারপর রেমালের কারণেও তিনশরও বেশি গাছ নষ্ট হয়, এবার সেই ঘাটতি মেটাতেই উদ্যোগ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা৷