বলিউডের চোরাগোপ্তা মাদকচক্র এই মুহূর্তে কাঠগড়ায় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেক তারকা মাদক নিতে বাধ্য হন। এর আগে আশির দশকে হলিউডেও বেশ কয়েকজন তারকা অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে মারা গেছেন। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন রাখি সাওয়ান্ত (Rakhi sawant)।
রাখিকে ‘ড্রামা কুইন’ বলা হলেও রাখি কিন্তু মজার ছলে এমন অনেক কথা বলেন, যেগুলি গুরুত্বপূর্ণ। বলিউডের মাদক চক্র সম্পর্কে রাখি বলেছেন, বলিউডের মাদক কান্ডকে বারবার তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু কোনো নেতা-মন্ত্রীর ছেলে-মেয়েরা ড্রাগ নিলে তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আসে না। সেই সময় রাখির ঘনিষ্ঠ একজন সাংবাদিক বলেন, নেতা-মন্ত্রীর ছেলে-মেয়েরা মাদক কান্ডে ধরা পড়লেও এক ঘন্টার মধ্যে ছাড়া পেয়ে যান।
View this post on Instagram
রাখি দাবি করেছেন, বলিউডের সেলিব্রিটিরা মাদক নেন না। কিন্তু সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh Rajput)-এর মৃত্যুর পর জানা গিয়েছিল, লকডাউনের সময় স্থানীয় ড্রাগ পেডলারের মাধ্যমে সুশান্ত ও রিয়া (Rhea Chakraborty) প্রচুর ড্রাগ ক্রয় করেছিলেন। এছাড়াও এনসিবির হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, বলিউডের এক নামী সুপার মডেল-অভিনেতা মাদক চক্রের চাঁই। তিনিই বলিউডের অন্দরমহলে প্রচুর মাদক সরবরাহ করেন। এনসিবির নজর রয়েছে করণ জোহর (karan johar)-এর হাউস পার্টির দিকেও যেখানে রীতিমতো মাদকের আসর বসে।
তবে বলিউডের প্রতি এই দোষারোপ আজকের নয়। এর আগেও বলিউডের তারকারা অ্যালকোহল, মাদক, নিকোটিনে আসক্ত হয়ে নিজের কেরিয়ারে অসফল হয়েছেন। এবার প্রশ্ন ওঠে, শুধুই কি পেশাগত চাপের কারণে মাদকের আশ্রয় নেন তারকারা? নাকি পেশাগত চাপের সঙ্গে যুক্ত হয় নিজের তারকাখচিত বিলাসবহুল জীবনযাত্রাকে মেইনটেইন করার চাপ? কারণ রাখি সাওয়ান্তের মুখেই শোনা গিয়েছিল, একজন স্টারকে নিজের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেভাবে হোক, কয়েক লক্ষ টাকা রোজগার করতেই হয়। এমনকি বাঙালির মহানায়ক উত্তমকুমার স্বীকার করেছিলেন, প্রতি মাসে তাঁকে তাঁর পরিবারের হাতে চল্লিশ হাজার টাকা তুলে দিতেই হবে। এই টাকার অঙ্কটা তৎকালীন যুগে নেহাত কম ছিল না। অতিরিক্ত নেশার কারণে হার্টঅ্যাটাক হয়ে অকালপ্রয়াণ হয়েছিল উত্তমকুমারের। এই সব ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, তারকাখচিত ঝলমলে জীবনের আড়ালে রয়েছে এক কঠিন মানসিক চাপ সম্পন্ন জীবন যা থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু মাদকের নেশা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয় না। বরং তা শিল্পীর কেরিয়ারকে শেষ করে তাঁকে ধীরে ধীরে ঠেলে দেয় মৃত্যুর অমোঘ পরিণতির দিকে।