‘দিদি নং 1′ রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee) বরাবর এভারগ্রীণ। বয়সের সাথে সাথে তাঁর সৌন্দর্য যেন বেড়েই চলেছে। রচনার সৌন্দর্যের সিক্রেট হল জীবনের প্রতি তাঁর ইতিবাচকতা। নিজের শান্তি নিজেই খুঁজে নেন রচনা। দেশ জুড়ে করোনা অতিমারীর কারণে আংশিক লকডাউন চলছে। তার মধ্যেই রচনা রওনা দিয়েছিলেন অমৃতসর।
সৎনাম আহলুওয়ালিয়া (satnam Ahluwalia) ও গুন্না আহলুওয়ালিয়া (gunna Ahluwalia) তাঁর বিশেষ পরিচিত। তাঁদের সহায়তায় এদিন অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে লঙ্গর ও সেবার উদ্যোগে ব্রতী হয়েছিলেন রচনা। গুরুদ্বারার নিয়ম অনুসারে রচনার পরনে ছিল নীল-সাদা সালোয়ার-কামিজ ও মাথা ঢাকা ছিল নীল ওড়নায়। অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের সরোবরের জলে হাত-পা পবিত্র করে লঙ্গর ও সেবার কাজ শুরু করেছিলেন রচনা। লঙ্গরের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে রচনা লিখেছেন, মানবসেবার কাজের সুযোগ পাওয়া অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার। স্বর্ণমন্দিরের প্রধান গ্রন্থী সিং সাহেব জ্ঞানী জগতার সিং জী রচনাকে আশীর্বাদ করেছেন। তাঁকে এত সুন্দর একটি উদ্যোগে সামিল করার জন্য সৎনাম ও গুন্নাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রচনা।
রচনা মূলত ঘরে ঘরে ‘দিদি নং 1’ শোয়ের দৌলতে বেশি পরিচিত। একসময় অভিনেত্রী হিসাবে প্রশংসিত হলেও টেলিভিশনের পর্দায় তাঁর উপস্থিতি ‘দিদি নং 1’- এর টিআরপি বাড়িয়ে দিয়েছে। রচনার পরিবর্তে একবার দেবশ্রী রায়(Debashree Roy)শোয়ের সঞ্চালক হিসেবে আনা হলেও দর্শকদের মন ছুঁতে পারেননি দেবশ্রী। তাই রচনাকেই আবার এই শো-তে ফিরিয়ে আনা হয়।
রচনার জনপ্রিয়তার আরেকটি কারণ হলো তাঁর মানবিকতা। টলিউডের বহু দুঃস্থ শিল্পীকে সাহায্য করেন রচনা।ব্যক্তি রচনা ভালোবাসেন গাছ লাগাতে,বেড়াতে যেতে,নিজের ছেলেকে নিয়ে জমিয়ে সংসার করতে এবং জীবনকে ইতিবাচক ভঙ্গিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আক্ষরিক অর্থেই রচনা ‘দিদি নং 1’।
View this post on Instagram