কিছুদিন আগেই ‘ডান্স দিওয়ানে 3′-তে এসেছিলেন রঞ্জিত (Ranjeet Bedi)। রঞ্জিত বললেই মনে পড়ে বলিউডের ষাটের দশকের ভিলেন। কয়েকটি ফিল্মে তিনি পজিটিভ চরিত্রে অভিনয় করলেও দর্শক তাঁকে বরাবর পছন্দ করেছেন ভিলেনের চরিত্রে। তখন অ্যান্টি-হিরো বলা হত না। ভিলেন বলেই এই ধরনের অভিনেতাদের পরিচয় দেওয়া হত। সাধারণতঃ রঞ্জিত মানেই ছিলেন ধর্ষক অথবা কিডন্যাপার। ফলে ‘ডান্স দিওয়ানে 3′-তেও তাঁকে ভিলেনের রূপেই স্বাগত জানানো হয়েছিল। কিন্তু রঞ্জিতকে ইদানিং সেভাবে ফিল্মে অভিনয় করতে দেখা যায় না। সম্প্রতি ‘কপিল শর্মা শো’-তে এসেছিলেন রঞ্জিত।
দুশোটির উপর হিন্দি ফিল্মে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রঞ্জিত। সত্তর-আশি দশকের সময় তাঁর অভিনয় জীবনের কথা কপিল শর্মার কাছে তুলে ধরেছিলেন রঞ্জিত। ‘শর্মিলি’ ফিল্মের কথা বলতে গিয়ে রঞ্জিত জানিয়েছেন, ফিল্মে রাখি গুলজার (Rakhi Gulzar)-এর সঙ্গে তাঁর রেপ সিন দেখে রঞ্জিতের মা-বাবা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, রঞ্জিত পরিবারের নাম খারাপ করে দিয়েছেন। এমনকি অমৃতসরে তাঁর দেশের বাড়িতেও তাঁকে নিয়ে সমালোচনা শুরু করে হয়েছিল। কিন্তু নায়িকারা রঞ্জিতের সঙ্গে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন।
রঞ্জিত বলেছেন, সেই সময় শিল্পীরা শুধুমাত্র স্টোরিলাইন শুনেই অভিনয় করতে রাজি হয়ে যেতেন। চিত্রনাট্য নিয়ে তাঁদের মাথা ব্যথা ছিল না। রঞ্জিত সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে সহজ হওয়ার চেষ্টা করতেন। তবে সেই সময় এই ধরনের দৃশ্যকে অশ্লীল বলা হত না। কারণ নায়ক, খলনায়ক, বাবা, মা প্রভৃতি চরিত্রগুলি ছিল গতানুগতিক। রঞ্জিত এতগুলি রেপ সিনে অভিনয় করেছিলেন যে তাঁর নাম হয়ে গিয়েছিল ‘রেপ স্পেশ্যালিস্ট’।
কপিলের শোয়ে এসে মজা করে রঞ্জিত বলেন, যেদিন থেকে নায়িকারা ছোট পোশাক পরা শুরু করেছেন, সেদিন থেকে পোশাক টেনে খোলার দরকার পড়ত না। ফলে ফিল্মে রঞ্জিতের মতো ভিলেনের আর প্রয়োজন পড়ত না।