এক শতক পার করে ফেলেছে বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যার পোশাকি নাম ঢালিউড। কিন্তু এখনও অবধি ঢালিউডে একটি নাম বেঁচে রয়েছে, অঞ্জু ঘোষ (Anju Ghosh) । তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নাকি ভারতের তা নিয়ে রয়েছে একাধিক বিতর্ক। বর্তমানে কলকাতার উপকন্ঠে সল্টলেকে থাকেন অঞ্জু। অভিনয় জগৎ থেকে এখন তিনি অনেকটাই দূরে। বাগান করেন অবসর সময়ে। একটানা ষোল বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন অঞ্জু। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ তাঁকে দিয়েছিল সর্বাধিক পরিচিতি। কিন্তু প্রায় একরকম হঠাৎই ঢালিউড থেকে কলকাতায় চলে এসেছিলেন অঞ্জু। পিছনে ফেলে এসেছিলেন নিজের তারকাখচিত জীবন। একাকী বাঁচেন অঞ্জু।
বাংলাদেশের নামী নায়িকার জীবনে নায়কের অভাব হওয়া কথা নয়। কিন্তু তবু অঞ্জু একা। কারণ তাঁর পরিবারের চাহিদা। অঞ্জুর জন্ম ও বেড়ে ওঠা যে সময়ে, সেই প্রজন্মের মা-বাবা ও অন্যান্য অভিভাবকরা সকলেই তাঁদের ঘরের মেয়েদের সুপাত্রে বিয়ে দিতে চাইতেন। তবে অনেকে রক্ষণশীল ছিলেন মেয়েদের কেরিয়ারের ক্ষেত্রে। অঞ্জুর মা-বাবা মেয়ের কেরিয়ারে বাধা দেননি। কিন্তু তাঁরা তাঁদের মেয়ের বিয়েও চাননি। অঞ্জু এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলিউডের স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী সুরাইয়া (Suraiya)-র উদাহরণ দিয়েছেন। সুরাইয়ার পরিবারের উপার্জনক্ষম ছিলেন তিনি একা। পরিবারের চাপেই বিয়ে করতে পারেননি এই নামী অভিনেত্রী। একই কাহিনী অঞ্জুর। তাঁর বাবা কখনও চেয়েছিলেন মেয়ের বিয়ে হোক। কিন্তু মা চাননি, অঞ্জু অভিনয় ছেড়ে বিয়ে করে সংসারী হয়ে উঠুন।
তবে অঞ্জুও কাউকে ভালোবাসতে পারেননি। সৌন্দর্য নয়, পুরুষের ব্যক্তিত্ব ও গুণ পছন্দ করেন অঞ্জু। তাঁর প্রেমিক থাকলেও তিনি বিয়ে করার মতো ছিলেন না। অঞ্জুর মতে, তিনি শুধুই ছিলেন ‘টাইমপাস’। তবে সল্টলেকে থাকাকালীন এই বয়সেও অঞ্জুকে বিরক্ত করেছেন এক প্রতিবেশী। কিন্তু এই বিষয়ে বিশেন কিছু বলতে নারাজ অঞ্জু।
ফুল ভালোবাসেন তিনি। নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করেন অঞ্জু। তাঁর বাংলাদেশের বাড়িতেও প্রচুর গাছ ছিল। ফুলগাছের পরিচর্যার মাধ্যমেই অঞ্জু খুঁজে পেয়েছেন জীবনের আনন্দ।