whatsapp channel

Swastika Mukherjee: রক্ত পরীক্ষা করালেন স্বস্তিকা, শীঘ্রই হবে অস্ত্রোপচার, কি হয়েছে অভিনেত্রীর!

জীবনে চলার পথে কিছু মানুষ কখন যেন অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে যান। বৃহত্তর পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠেন তাঁরা। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)-র সাম্প্রতিক পোস্টের পরতে পরতে রয়েছে তাঁর বৃহত্তর পরিবারের…

Avatar

Nilanjana Pande

জীবনে চলার পথে কিছু মানুষ কখন যেন অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে যান। বৃহত্তর পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠেন তাঁরা। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)-র সাম্প্রতিক পোস্টের পরতে পরতে রয়েছে তাঁর বৃহত্তর পরিবারের এক বিশেষ মানুষের কথা। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে পালিত হয়েছে রাখিপূর্ণিমা। বৃহস্পতিবার ছিল স্বস্তিকার রক্ত পরীক্ষা। কিন্তু এই রক্ত পরীক্ষা যেন তাঁকে মনে করিয়ে দিল, রক্তের সম্পর্কই সব কিছু নয়।

এদিন স্বস্তিকার রক্ত পরীক্ষার স্যাম্পল নিতে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন কলকাতার একটি নামী প‍্যাথ ল্যাবের কর্মচারী ফাল্গুনীবাবু (Falguni)। স্বস্তিকা কোনো দিনই তাঁর পদবী জিজ্ঞাসা করেননি। তাঁর বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায় (Santu Mukherjee) ভদ্রলোককে ডাকতেন ‘ফাল্গুনী’ বলে। স্বস্তিকা, তাঁর বোন আজোপা (Ajopa) ও তাঁদের মা ডাকতেন ‘ফাল্গুনীদা’। স্বস্তিকার যখন কুড়ি বছর বয়স, সেই সময় থেকেই ফাল্গুনীবাবু তাঁদের বাড়িতে আসেন রক্ত পরীক্ষার স্যাম্পল নিতে। পরনে থাকে সাদা পোশাক। সূঁচকে ভয় পান স্বস্তিকা। কিন্তু ফাল্গুনীবাবুর আশ্বাস, ব্যথা লাগবে না। স্বস্তিকা কিছু বুঝে ওঠার আগেই রক্ত নিয়ে নেন ফাল্গুনীবাবু। তবে বৃহস্পতিবার স্বস্তিকাকে অবাক করে দিয়েছেন তিনি।

এদিন ফাল্গুনীবাবু স্বস্তিকার বাড়িতে ঢুকেই আগে বলেছেন, “হাতটা দাও তো দিদিমণি!” স্বস্তিকা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, রক্ত নেওয়ার আগে হাতে যা বাঁধা হয়, তা বাঁধলেন না ফাল্গুনীবাবু! তাঁকে অবাক করে দিয়ে মানুষটি স্বস্তিকার হাতে পরিয়ে দেন ফুলের রাখি। তারিফ করেন স্বস্তিকার মতো একা মেয়ের সাহসের। মনে করিয়ে দেন, সন্তুবাবু শারীরিক ভাবে না থাকলেও মানসিক ভাবে মেয়ের পাশে রয়েছেন। স্ত্রীরোগ জনিত কারণে আগামী সপ্তাহে একটি অপারেশন হবে স্বস্তিকার। তার জন্যই রক্ত পরীক্ষা করালেন তিনি।

ফাল্গুনীবাবু আশ্বাস দিয়েছেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। হাসপাতাল থেকে ফিরলে স্বস্তিকাকে দেখতে আসবেন তিনি। নায়িকার বয়স বিয়াল্লিশ হয়ে গেল শুনে অবাক ফাল্গুনীবাবুর মনে হয়, এত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গেল মেয়েটি। চলে যাওয়ার আগে স্বস্তিকা ছবি তুলেছেন ফাল্গুনীদার সাথে। যাওয়ার আগে একবার পিছন ফিরে ফাল্গুনীবাবু জিজ্ঞাসা করেন, বাবার ছবিতে ধূপ দেখান তো স্বস্তিকা! স্বস্তিকা বলেন, রোজ। কিছু সম্পর্ক রক্তের না হয়েও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে যায়। ছবিগুলি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিয়েছেন স্বস্তিকা। ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP)-এর তরফ থেকে স্বস্তিকার দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হল।

whatsapp logo