Rathayatra: একবার ছুঁতে আকুল হন ভক্তরা, রথের রশি স্পর্শ করলে কিভাবে সুফল মেলে জানেন?
ভারতবর্ষের প্রতিটি ভক্তের কাছে পুরীর জগন্নাথধাম একটা অন্যতম জায়গা। সমুদ্রের ধারে অসাধারণ এই জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে অন্যতম একটি ধাম। চার ধামের মধ্যে বাকি তিন ধাম হল বদ্রীনাথ, দারোকা এবং রামেশ্বরম। পুরীর প্রধান ধর্মীয় উৎসবই হল রথযাত্রা।
রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামে এদিন তিনটি পৃথক পৃথক রথে চেপে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। বিভিন্ন মন্দির থেকে এখানে রথ বের করা হয়, রথের দিন ছোট কাঠের রথ, ফুল, পাতা দিয়ে সাজিয়ে রাস্তায় বের করে কচিকাঁচারা এইভাবে ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গাতে রথযাত্রাকে সেলিব্রেট করা হয়।
রথের দড়ি স্পর্শ করার অনেক মাহাত্ম্য রয়েছে, জগন্নাথ রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান, তার নাম নন্দীঘোষ, বলরাম আর বলভদ্রের চেয়ে রথের নাম তালধ্বজ, আর সুভদ্রার রথের নাম পদ্মধ্বজ। রথের এই রশি স্পর্শ করার জন্য ভক্তদের মধ্যে তাড়াহুড়ো লেগে যায়, প্রতি বছর বহু মানুষ রথের সময় পুরীতে যান, রথের দড়ি একবার স্পর্শ করার জন্য। কিন্তু কেন?
এই রথের দড়িতে কি এমন মাহাত্ম্য রয়েছে জানেন?
হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা বিশ্বাস করেন, যে জগন্নাথ দেবের রথে যদি আপনি রশি ধরেন, তাহলে আপনার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। জগন্নাথ হলেন স্বয়ং দেবতার একটা মূর্তি। এই জন্যই তো ভক্তগণ তাকে দর্শন করার জন্য দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসেন। পুরী, মাহেশ কলকাতা, ইসকন প্রভৃতি জায়গার রথযাত্রার জগৎ বিখ্যাত, তার দড়ির স্পর্শ করতে সবাই ব্যাকুল হয়ে পড়েন।
ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এই রথের রশি একবার যদি স্পর্শ করেন, তাহলে সমস্ত পাপ মুছে যাবে। যে সমস্ত ব্যক্তিরা এই রথের দড়ি টানা সুযোগ পান, তারা পুনর্জন্মের কষ্ট থেকেও বেঁচে যান। আপনিও যদি সুযোগ পান, তাহলে একবার এই রথের দড়ি স্পর্শ করতে পারেন, তবে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় হয়, সেক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে। এই দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসন সর্বদা কড়া ব্যবস্থা নেয়।