রাজ্যে বন্ধ রেশন দোকান, ভোগান্তি কাটিয়ে কবে রেশন পাবেন সাধারণ মানুষ!
রেশন দোকান (Ration) থেকে পাওয়া নিত্যদিনের খাদ্যসামগ্রীর উপরে নির্ভর করে সংসার চলে বহু মানুষের। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে এখনো বহু মানুষই দারিদ্রসীমার নীচে রয়েছেন। তাদের জন্য রেশন কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সরকারের তরফে বিনামূল্যে রেশন উদেওয়া হচ্ছে বেশ কয়েক বছর। শুধু দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষরাই নন, আরো অনেকেই বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা নিয়ে থাকেন। করোনার সময় থেকেই দেশ এবং রাজ্যে বহু মানুষ বিনামূল্যে রেশন সামগ্রীর সুবিধা ভোগ করে চলেছে। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে রেশন নিয়ে এক বড় আপডেট এসেছে।
কয়েকদিন ধরে টানা বন্ধ থাকতে পারে রেশন দোকানগুলি। আসলে রাজ্যের অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ডাকা হয়েছে ধর্মঘট। রেশন ডিলাররা ডেকেছেন এই ধর্মঘট। এই ধর্মঘট চলবে বেশ কিছুদিন। তাই এই সময়ে সমস্যা হতে পারে রেশন বন্টন ব্যবস্থায়। রেশন ডিলারদের ধর্মঘটে ভোগান্তি হতে পারে সাধারণ মানুষদের। তাই এই সময়ে কেউ রেশন তোলার পরিকল্পনা করে থাকলে তা বাতিল করতে হবে।
ই রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে বহুবার উঠেছে জালিয়াতির অভিযোগ সাধারণ মানুষকে রেশন সামগ্রী দেওয়ায় পরিমাণে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগেই একই অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুর এর কাঁথি মহকুমার এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেন ওই রেশন ডিলার। তারপরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। রেশন ডিলাররা পালটা অভিযোগ করেন, ই পশ মেশিনে মজুত রাখা খাদ্য সামগ্রীর পরিমাণে অনেক সময়ই ভুল বেরোচ্ছে। এদিকে মানুষ ভুল বুঝতে রেশন ডিলারদের। এই মর্মে খাদ্য দফতরের প্রধান সচিবের কাছেও দেওয়া হয়েছিল চিঠি। কিন্তু মেলেনি সাড়া। তারপরেই ধর্মঘটের ডাক দেয় রেশন ডিলাররা।
শুক্রবার ধর্মঘটের কারণে রেশন দোকান গুলি বন্ধ থাকায় রেশন পাননি বহু মানুষ। ভোগান্তি হয়েছে সাধারণ মানুষের। তবে ভবিষ্যতে এমন ভাবে ধর্মঘটের কারণে রেশন দোকান বন্ধ থাকলে বড়সড় সমস্যায় পড়বে আমজনতা। তাই এই সমস্যা সমাধানের দিকে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই।