Nabanna Abhijaan: নবান্ন অভিযানে অশান্তি আটকাতে ৬০০০ পুলিশ, কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার
আজ কলকাতার পথে নামছে প্রায় ৬০০০ বাহিনী। ব্যারিকেড করা হয়েছে প্রায় ১৯ টি পয়েন্টে। পরিস্থিতি বুঝে বন্ধ হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয় হুগলী সেতু, থাকছেন প্রায় ২৬ জন ভিসি, সকাল আটটা থেকেই পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। সাথে নেওয়া হয়েছে জলকামান, টিয়ার গ্যাস, বিদ্যাসাগর সেতুর দুপাশে অর্থাৎ কলকাতা এবং হাওড়া এই দুই দিকেই ব্যারিকেড করে রাখা থাকবে। প্রত্যেকটি রোড দখল করে নিয়েছে পুলিশ।
বন্ধ হয়ে গেছে হাওড়া মুখে AJC Bose রোড। সাঁতরাগাছি তে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ক্রেনে করে কন্টেনার নামিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, প্রায় দশ ফুট উচ্চতার গার্ড রেল দেওয়া হয়েছে। বিদ্যাসাগর সেতুর দু’পাশে অর্থাৎ কলকাতা ও হাওড়া দুই দিকেই ব্যারিকেড থাকবে।
বিদ্যাসাগর সেতু এবং র্যাম্প, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, ডায়মন্ড হারবার রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, রিমাউন্ট রোড, কোল বার্থ রোড, কলকাতা বন্দরের সংযোগকারী ফিডার রোড-সহ একাধিক রাস্তায় রাত ১০টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে যাওয়ার নেহেরু রোড জওহরলাল নেহরু রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, আউট্রাম রোড, খিদিরপুর রোড, লাভার্স লেন, ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউয়ের মতো রাস্তায়।
এই রকম পরিস্থিতির জন্য হাওড়ায় মংলা হাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে পাইকারি এবং ক্ষুদ্র সমস্ত কেনাবেচা বন্ধ থাকবে, বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এই নবান্ন অভিযান ঘিরে সোমবার দফায় দফায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজকুমার ভার্মা জানাচ্ছেন যে এই অভিযানে মহিলা এবং পড়ুয়াদেরকে সামনে রেখে কোনভাবে অশান্তির ছক তৈরি করা হচ্ছে। এই অভিযান মোকাবিলার জন্য সমস্ত শক্তি দিয়েই ময়দানে নেমে পড়েছে পুলিশ বাহিনী।