Finance News

RBI: এখনো জমা দেওয়া যাবে অবৈধ ২০০০ টাকার নোট! রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করল এই উপায়

তিনমাস হতে চলল ভারতে বাতিল বলে গণ্য করা হয়েছে ২০০০ টাকার নোটকে। দেশের সবথেকে বড় মুদ্রাকে কয়েকমাস আগেই বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে যেহেতু এই চালু নোটের একটা বড় অংশ ততদিন অবধি অনেক সাধারণ মানুষের কাছে ছিল, তাই তাদের সেইসব নোট ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে সম মূল্যের ক্রেডিট নেওয়ার জন্য কয়েকমাস সময় দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময়সীমা গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। পরে এই ডেডলাইন বাড়িয়ে ৭ অক্টোবর করা হয়। তাও এখন শেষ হয়ে গিয়েছে।

বর্তমানে গান্ধী সিরিজের এই গোলাপি নোট বাজারে অবৈধ বলে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এখনো যদি অনেকের কাছে এই ২০০০ টাকার নোট থেকে থাকে, তাহলে টেনশন করার কারণ নেই। কারণ এখনো দেশবাসীর কাছে সেই নোট প্রত্যাহার করার দরজা খোলা রেখেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে ৭ অক্টোবর অবধি যেখানে প্রতিটি ব্যাঙ্কে গিয়ে এই নোট বদল করে যেত, এখন আর সেটি সম্ভব হবেনা। এখন এই নোট জমা দেওয়ার জন্য যেতে হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষিত ১৯ কেন্দ্রের যেকোনো একটিতে। দিল্লি, কলকাতা সহ সব বড় শহরে এইসব কেন্দ্র রয়েছে।

তবে যায়নি যদি জেলার বাসিন্দা হন, আর আপনার কাছে যদি এমন গোলাপি নোট থেকে থাকে, এদিকে আপনার কাছে যদি কলকাতায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট দফতরে গিয়ে নোট জমা করার সুযোগ না থেকে থাকে, তাহলে আয়নার টেনশনের কারণ নেই। কারণ এক্ষেত্রে নোট জমা দেওয়ার আরেকটি পথ খোলা রয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, নাগরিকরা পোষ্ট অফিসে গিয়েও ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে বৈধ পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে পারেন গ্রাহকরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম ভারতের বাজারে ২০০০ টাকার নোট ছাড়া হয়। ৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে গোটা দেশে নোটবন্দি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেয়। এরপর ১০ নভেম্বর ২০১৬ থেকে নতুন ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এটিও আগের মতন গান্ধী সিরিজের নোট ছিল। তবে নতুন আকারে এবং নতুন সজ্জায় এই নোট বাজারে আসে। কয়েকমাস আগে অবধি বাজারের সবথেকে বড় নোট ছিল এই ২০০০ টাকার নোট।

Related Articles