আইবুড়ো’ শব্দের দেহাবসান হয়েছে আজকের দিনে। কিছু বছর আগেও পাড়ায় বা পরিবারের মধ্যে একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতো – বিয়ে করবি কবে? কম বয়স তো হল না, এরপর বর পাবি না, বাচ্চা নিবি কবে? ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু, এখন মানুষ অনেক বয়স পর্যন্ত আইবুড়ো (late marriage) থাকে। মনের মতন মানুষ না পেলে কেউ বিয়ের ফাঁদে পা দিচ্ছে না। এতে করে অনেকেই বেশি বয়সে বিয়ে করছেন, এবং কেউ কেউ স্বাভাবিক ভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারছেন, তো কেউ কেউ সারোগেসি বা আইভিএফ এর সাহায্য নিচ্ছেন।
এমনও অনেক মানুষ আছেন যারা বেশি বয়সে গিয়ে বিয়ে করছেন এবং সুন্দর ভাবে সংসার সামলাচ্ছেন। সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে চোখ রাখলে এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে। কিন্তু, বিয়ে কেন বেশি বয়সে? কেন এই সিদ্ধান্ত যৌবন কাল থাকতেই নেওয়া হচ্ছে না? কেন মানুষ দেরিতে বিয়ে করছেন?
আসলে আজকের দিনে ছেলেরা ও মেয়েরা বেশি ফোকাস করছে তাদের কেরিয়ারে। পায়ের তলার মাটি শক্তপোক্ত করে তবেই বিয়ের পথে এগোচ্ছেন। উদাহরণ হিসেবে দেখানো যেতে পারে বলিউডে রানি মুখার্জি, ক্যাটরিনা কাইফ, প্রীতি জিন্টা, সইফ আলি খান, নীনা গুপ্তা সহ টলিউডের দীপঙ্কর-দোলন। ২০২০ সালে বিবাহ-বন্ধনে বাঁধা পড়েন এই দুজন, তখন দীপঙ্কর ৭৫, আর দোলন ৪৯. এখনও দিব্যি সংসার করছেন দুজন।
সুতরাং, বেশি বয়সে বিয়ে করা কোনো সমস্যা নয়। যদি দুটি প্রাণী ভালই থাকতে পারে তাহলে সেটা ২১ এ করলেও যা, ৪১ এ করলেও তাই। এছাড়া, বেশি বয়সে বিয়ে করলে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়ে, ধৈর্য শক্তি বাড়ে, একে অপরের বন্ধু হয়ে ওঠা যায়। তাই, আজকের দিনে বিয়েকে একটু দূরে রেখে অনেকেই লিভ ইন করছেন, কেউ কেউ শারীরিক সম্পর্কের জন্য বিভিন্ন হোটেল কব্জা করছেন, কার্যত এভাবেই প্রেমের রসায়ন শুরু হয়েছে বর্তমান সমাজে, এবং মানুষ বিয়েও করছেন দেরি করে। কারণ, যেখানে বয়সটা কিছুই না, শুধুই সংখ্যা মাত্র।