ধীরে ধীরে খুলছে আরজিকর কাণ্ডের জট, সন্দীপের পর ফের গ্রেফতার আরো তিনজন
অবশেষে বহু মানুষের মনের বাসনা পূর্ণ হল। আর জি কর মেডিকেল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করল সি বি আই। ১৫ দিন জিজ্ঞাসা কর সন্দীপ ঘোষ কে গ্রেফতার করল সিবিআই এর আর্থিক দুর্নীতির দমন শাখা। তবে আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও আরো তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে খবর সুত্রে। আর জি কর মেডিকেলের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করার পর গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষের দেহরক্ষী আফসার আলী, এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন হাসপাতালের ভেন্ডার সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং।
আগে সন্দীপ ঘোষের বাড়ির সহ একযোগে ১৫ জায়গায় তল্লাশি করে অনেক কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে ফেলেছে। সিবিআই তারপর গত মঙ্গলবার আলিপুর কোর্টের দারস্ত হয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সী যেখান থেকে জানা যাচ্ছে, যে নথি জালিয়াতির অভিযোগে যুক্ত করা হয়, জামিন অযোগ্য ধারা। একুশে আগস্ট সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তোলা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার এই যে হাতে চলে গেছে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্ত হয়েছিলেন।
আর জি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলী তারপর রাজ্য সরকারের তৈরি SIT-র হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে গত ২৩ অগাস্ট সিবিআই-কে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আখতার আলী কেও ডেকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আর জি কর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা, সমস্ত নথি মিলিয়ে মিলিয়ে দেখা হয়।
তারপর সোমবার সন্ধির সময় সিবিআইয়ের অ্যান্টি-কপশন ব্রাঞ্চের অফিসাররা সন্দীপ ঘোষ কে আটক করে নিজাম প্যালেস এ নিয়ে যান, তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর জি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পরে প্রত্যেককে খুশিত হয়েছেন। খুশি আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা, তবে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি করেছেন অনেকেই। বিনীত গোয়েল এর পদত্যাগের দাবিতে তারা রীতিমতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।