সোমবার সকাল থেকেই যেন বিনোদন জগতে খারাপ সময় নেমে এসেছে। আসছে একের পর এক শোকসংবাদ। সকালেই ছড়িয়ে পড়েছিল শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)-র পিতার মৃত্যুসংবাদ। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সঙ্গীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় (Ridhdhi Bandopadhyay) জানালেন তাঁর মাতৃহারা হওয়ার দুঃসংবাদ।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ঋদ্ধির মা। 3 রা সেপ্টেম্বর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন ঋদ্ধি। এরপর মাকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন তিনি। 25 শে সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে নিজের একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে ঋদ্ধি লিখেছিলেন, একটা যুদ্ধ শেষ হয়ে আরেকটা যুদ্ধ শুরু হল। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মায়ের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। অবশেষে মাকে নিজের বাড়িতে, নিজের বিছানায় ফেরাতে পেরে খুশি হয়েছিলেন ঋদ্ধি। ধীরে ধীরে বিশ্বাস আসছিল, যুদ্ধটা জয় করতে পারবেন। মা হাসপাতালে থাকাকালীন ঋদ্ধি নিজের কাজ করার পাশাপাশি বাকি সময়টা হাসপাতালেই থাকতেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর মায়ের জন্য আজ তাঁর সাফল্য। রাত একটা অবধি রেকর্ডিং বা শুটিং করেও পরের দিন হাসপাতালে পৌঁছে যেতেন ঋদ্ধি।
ঋদ্ধির মা অসুস্থ অবস্থাতেও মেয়েকে শক্তি যুগিয়েছেন। যাঁরা ঋদ্ধির বিপদের দিনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে অপরিসীম সাহায্য করেছেন, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এমনকি যাঁরা সুহৃদ সেজে থেকেও তাঁর পাশে দাঁড়াননি, তাঁদেরও চিনেছিলেন তিনি এবং ফেসবুক পোস্টে তা প্রকাশ করেছিলেন। ছাত্রীরা তাঁর পাশে ছিলেন। তাঁদের অনেক ভালোবাসা জানিয়েছিলেন ঋদ্ধি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
দেবীপক্ষের প্রাক্কালে চলে গেলেন ঋদ্ধির জননী মা দুর্গা। তাঁর হাত ধরেই প্রথম গান শিখতে গিয়েছিলেন ঋদ্ধি। মায়ের উৎসাহেই পড়াশোনা, মায়ের হাত ধরে জীবনের এতটা পথ পেরিয়ে আসা। ঋদ্ধির কাছে তাঁর মা-ই ছিলেন তাঁর বান্ধবী। কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি ভরসার হাতটা ছেড়ে দিলেন তিনি। ঋদ্ধিকে একা করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ফেসবুকে মায়ের আকস্মিক প্রয়াণের খবর জানিয়ে ঋদ্ধি লিখেছেন, রাত 3 টে 46 মিনিটে তাঁর মা চলে গেছেন। মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তিনি। অনুরাগীদের বলেছেন একটু প্রার্থনা করতে। ঋদ্ধিকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁর শুভাকাঙ্খীরা। তাঁরা ঋদ্ধিকে শান্ত থাকতে বলেছেন। অনেকেই ঋদ্ধির মাতৃহারা হওয়ার দুঃসংবাদে শোকপ্রকাশ করেছেন।