আগামী 12 ই মে মুক্তি পেতে চলেছে অরিত্র মুখোপাধ্যায় (Aritra Mukherjee) পরিচালিত বাংলা ফিল্ম ‘ফাটাফাটি’। এই ফিল্মটি প্রযোজনা করছে উইন্ডোজ। ‘ফাটাফাটি’-র মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty) ও আবীর চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)। ফিল্মের শুটিং শেষের পর কয়েকটি ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে ঋতাভরী জানিয়েছিলেন, জীবনের সবচেয়ে সাহসী ফিল্মের শুটিং করলেন তিনি। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shibaprashad Mukharjee)-ও তাঁকে এই সাহসের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ঋতাভরীর প্রশংসা করেছিলেন। ‘ফাটাফাটি’-তে এক প্লাস সাইজ মডেলের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে ঋতাভরীকে। তবে ফিল্ম মুক্তির আগে নেপথ্যের কাহিনী সামনে নিয়ে এলেন নায়িকা।
প্রথমেই ‘ফাটাফাটি’-র সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত গান ‘জানি অকারণ’ সকলের পছন্দ হওয়ার জন্য অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঋতাভরী। এরপর তিনি লিখেছেন তাঁর ‘ফাটাফাটি’ কাহিনী। ঋতাভরী জানিয়েছেন, এই প্রথমবার তিনি কোনো ফিল্মে অভিনয়ের জন্য মস্ত বড় শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। এক বছরে তাঁর একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বেড রেস্টে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় ফিটনেস সচেতন ঋতাভরীর সাত কিলো ওজন বেড়ে যায়। এরপর তিনি যখন সুস্থ হয়ে ওজন কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেই সময় তাঁর হাতে আসে ‘ফাটাফাটি’-র চিত্রনাট্য। অথচ তখন এই ফিল্মটি ছাড়াও আরও দুটি ফিল্মের চিত্রনাট্য ছিল তাঁর হাতে। ফলে রোগা হওয়া জরুরী ছিল। কিন্তু ‘ফাটাফাটি’-র ক্ষেত্রে তাঁকে অন্তত পনের থেকে কুড়ি কিলো ওজন বাড়াতে হত বলে জানিয়েছেন ঋতাভরী।
বডি শেমিং-এর বিরুদ্ধে চিরকালের সরব ঋতাভরী বেছে নিয়েছিলেন ‘ফাটাফাটি’-কেই। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর অনুভব এই ক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করেছিল। ঋতাভরী বিশ্বাস করেন শরীর বইয়ের মলাটের মতো। চেহারা কখনও মানুষের পরিচয় হতে পারে না।
বারবার ঋতাভরীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর দিদি চিত্রাঙ্গদা (Chitrangada Satarupa)। এবারেও তিনি বোনের প্রশংসা করলেন ‘আনস্টপেবল ফায়ারক্র্যাকার’ বলে। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। বডি শেমিং-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে প্রেক্ষাগৃহে আসতে চলেছে ‘ফাটাফাটি’।
View this post on Instagram