whatsapp channel
Hoop PlusTollywood

একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভালোবাসা? প্রসেনজিতের সঙ্গে প্রেম নিয়ে অকপট ঋতুপর্ণা

মানুষের জীবন নিয়েই সিনেমা। আর এই সিনে জগতে কাজ করতে করতে দর্শকদের ঘরের মানুষ হয়ে ওঠেন তারকারা। অনস্ক্রিন জুটি নিয়ে অফস্ক্রিনেও তৈরি হয় প্রত্যাশা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta) জুটি এর অন্যতম বড় উদাহরণ। বিগত তিন দশক ধরে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তাঁরা। উপহার দিয়েছেন বহু ছবি। এই জুটির মধ্যে বাস্তব জীবনে রসায়ন নিয়ে কম গুঞ্জন, কম খবর হয়নি। কিন্তু তাঁরা কখনোই শিলমোহর দেননি সেই রসায়নে। কখনো কি বাস্তবে প্রেম হয়েছিল তাঁদের? এ বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন ঋতুপর্ণা নিজে।

প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণা কি সত্যিই প্রেম করতেন? এক সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেছিলেন, লোকে তো তেমনটাই মনে করতেন। তবে তাঁর মতে, একটি মানুষের সঙ্গে ২৪ ঘন্টা থাকলে, একসঙ্গে কাজ করলে একটা ভালোবাসা, নির্ভরতা তৈরি হয়। এটাই কি তবে প্রেম? এর উত্তর অবশ্য ঋতুপর্ণা দেননি। ‘মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াক যুগ যুগ ধরে’, এমনটাই বলেছিলেন তিনি।

ঋতুপর্ণার কথায়, এই জুটি প্রচুর পরিশ্রমের ফল। প্রচুর মানুষের ভালোবাসা, আশীর্বাদ রয়েছে। দর্শকদের তিনি দেখেছেন, তাঁদের একবার হাত দিয়ে ছোঁয়ার জন্য কাঁদতে। তবে এর পেছনে তাঁদেরও ১০০ শতাংশ অঙ্গীকার রয়েছে। কয়েকটি পোস্টার, হোর্ডিংয়ে হয় না। রাতারাতি দর্শকদের এই ভালোবাসাটা তৈরি হয়নি। কাজের প্রতি ভালোবাসাই আসল। সেই কারণেই এত বছরে এই অঙ্গীকারটা কখনো নষ্ট হয়নি।

এক সময়ে অবশ্য ভেঙে গিয়েছিল এই জুটি। দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেননি প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণা। জুটি ভেঙে যেতে কি জীবনে শূন্যতা গ্রাস করেছিল? উত্তরে অভিনেত্রী বলেছিলেন, বিষয়টা তেমন নয়। তবে সংগ্রাম আগেও ছিল, পরেও ছিল। তবে তাঁর কথায়, একসঙ্গে কাজ করার সময়ে সংগ্রামটা অন্য রকম ছিল। কাজের মাঝে কখন যে সকাল থেকে রাত হয়ে যেত বুঝতেই পারতেন না। কিন্তু এখন সময় অনেক পালটে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ঋতুপর্ণা। প্রসঙ্গত, আগামীতে প্রসেনজিতের সঙ্গেও একটি ছবিতে দেখা যাবে ঋতুপর্ণাকে। প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁর পঞ্চাশতম ছবি ‘অযোগ্য’ আসতে চলেছে। ঋতুপর্ণা বলেন, তিনি শুনেছেন এটি গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও স্থান পেতে পারে।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই