আমাদের সমাজে একবার ডিভোর্স হওয়া মানে মানুষ একটু টেরা নজরে দেখে পুরো ব্যাপারটা। যদিও এই সময়ে এরকম ব্যাপার ঘটেই চলেছে। আজকালকার দিনে বিয়ে ও ডিভোর্স একদম পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে। আগেকার দিনে বা যদি ১৫ বছর আগের কথাও বলি, তখনও বিচ্ছেদের এত ঘনঘটা ছিল না। কিন্তু, সমাজ উন্নত হচ্ছে এখন। ভালো মন্দের ফারাক মানুষ আরো ভালো করে বুঝতে শিখেছে। আত্মসম্মান বেড়েছে, মানুষ প্রতিবাদী হয়েছে এমনকি সাবলম্বী হয়েছে। মেয়েরা যখন কিছু বছর আগেও শুধুই গৃহবধূর তকমা নিয়ে সারাটা জীবন কাটাতেন তখন বধূ নির্যাতনের অত্যাচারের সংখ্যাও বেড়ে ছিল। খবরের পাতায় বধূ নির্যাতন বা পরকীয়া একটা জলভাতের মতন বিষয় হয়ে উঠেছিল। এমত অবস্থায়, সমাজ এখন অনেক এগিয়ে। মেয়েরা জানে তাদের কী করতে হবে এবং কীভাবে করতে হবে।
সেরকমই একটি ধারাবাহিক হল শ্রীময়ী। স্টার জলসার পর্দায় ইন্দ্রানী হালদার, টোটা রায় চৌধুরী, উষসী চক্রবর্তী পরিবেশিত গল্প শ্রীময়ী হল হালফিলে সমাজের গল্প। এখানে রয়েছে সাংসারিক কাহিনী, জীবনের লড়াই, পরকীয়া, প্রেম, বিচ্ছেদ, আবার প্রেম, বিয়ে এবং অবশ্যই খলনায়িকার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। দর্শকদের প্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে একটি হল এই শ্রীময়ী ধারাবাহিক।
লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক এমনিতেই দর্শকদের টানে, কারণ তার গল্পে থাকে বাস্তবতার ছোঁয়া। এবারে তিনি তার গল্পে যোগ করেন এক দুর্দান্ত মশলা। দর্শকদের আবদারে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন রোহিত আঙ্কেল ও শ্রীময়ীর।
সমাজে ডিভোর্সি মহিলাদের দ্বিতীয়বার বিয়ে করা কোনো পাপ নয়, যদি স্বামী অকেজো হয় বা স্বামী দ্বিচারিতা করে তবে একটি মেয়ে দ্বিতীয়বার তার জীবন এগিয়ে নিয়ে যেতেই পারেন। জীবন যখন খুশি শুরু করা যায়, আর এই জীবন কারোর গোলাম নয়। তাই লেখিকা নতুন করে প্রাণ দিতে চলেছেন রোহিত ও শ্রীময়ীর জীবন। খুব শিগগিরি চার হাত এক হতে চলছে এই দুই জুটির। পাশাপাশি এটাও দেখার জুন আন্টি কোন খেল দেখায় এই বিয়ে নিয়ে
