Lifestyle: ছাদে গোলাপ আর পিটুনিয়া বসিয়েছেন! সুন্দর ফুল পেতে যত্ন নিন এইভাবে
কাছেপিঠে কোন নার্সারি থেকে পিটুনিয়ার বীজ কিংবা পিটুনিয়ার চারা কিনে আনতে পারেন। তার আগে এর জন্য মাটি তৈরি করতে হবে। মাটি তৈরি করার জন্য বাগানের মাটির সঙ্গে জৈব সার এবং কিছুটা বালি মেশাবেন। এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন নিম খোল এবং হাড়ের গুঁড়ো। পাঁচ ছয় দিন মাটি এমন ভাবেই প্রস্তুত করে চারা লাগিয়ে দিতে হবে।
বড় আকারের টব বাছতে হবে। একটি টবে দুটি চারা লাগাতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন কোনভাবেই না জল জমে থাকে। প্রতিদিন জল দেওয়ার দরকার নেই একদিন অন্তর একদিন জল দেবেন।
উপযুক্ত সূর্যালোক প্রয়োজন। ৫-৬ দিন অন্তর অন্তর সরিষার খোল পচা জল দিতে হবে। তবে যদি একেবারে অর্গানিক পদ্ধতিতে পিটুনিয়া ফুল ফোটাতে চান তাহলে রান্নাঘর থেকে বেরোনো সবজির খোসা একটি পাত্রের মধ্যে রেখে তার বেশ খানিকটা জল দিয়ে ভরিয়ে সেটিকে পচিয়ে সেই জল ব্যবহার করতে পারেন। গাছে পোকামাকড়ের উপদ্রব যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এমনটা হলে কীটনাশক স্প্রে করবেন।
গোলাপ গাছের জন্য প্রয়োজনীয় সার হতে পারে কলার খোসা। তবে কোনো সার একনাগাড়ে দিতে থাকবেন না। অনেকেই আছে, যারা একসার একইভাবে দিতে থাকেন। যার ফলে গাছ বড় হলেও ফুল ভালো পাওয়া যায় না। তাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানান রকম জৈব সার দিতে পারেন। কলার খোসা ভালো করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন, লেবুর খোসা ভালো করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন।
চা খেয়ে চা ফেলে না দিয়ে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন, সর্ষের খোলপচা তরল সার দিতে পারেন, ডিমের খোসা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন। এই সমস্ত কিছুই সার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়াও মাছ-মাংস ধোয়া জল, চাল ডাল ধোয়া জল ইত্যাদি গাছের গোড়ায় মাঝেমধ্যেই দেওয়া যেতে পারে। গোলাপ গাছে ভালো ফুল হওয়ার জন্য মাটি অ্যাসিডিক হওয়া ভীষণ দরকার। তাই মাটিতে অবশ্যই চা পাতা গুঁড়ো, কিংবা ফটকিরি ভেজানো জল দিতে পারেন। এতে দেখবেন আপনার গাছের গোলাপ ফুল কত বড় বড় হয়েছে।