রুদ্রজিৎ আর প্রমিতা থেকে রুমিতা। হ্যাঁ সাত ভাই চম্পা খ্যাত ধারাবাহিকের পারুল রাঘবেন্দ্রই হলেন আজকের রুমিতা। এই জুটিকে ভালোবেসে বাঙালি দর্শক এই নামকরণ করেন । অবশ্য এই ধারাবাহিকের সেট থেকে এদের প্রেম পর্ব শুরু। সাত ভাই চম্পার রুপকথার মতো প্রমিতা রুদ্রজিতের প্রেমের গল্পের কাহিনী শুরু হয়। এই ধারাবাহিক শেষ কিন্তু এখনো বাঙালি দর্শক চরিত্র গুলো ভুলতে পারেনি। বিশেষ করে বাচ্চারা এই প্রিয় জুটিকে মিস করে তাই তো লকডাউনের মাঝে জি বাংলায় যখন সম্প্রচারিত সাত ভাই চম্পা তখন সকলে মুখিয়ে থাকতো এই ধারাবাহিক দেখার জন্য।
দুজনেই তাঁদের অভিনয় দক্ষতা দিয়েই জিতে নিয়েছেন সকলের মন। আর সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন তাঁদের কেরিয়ারগ্রাফ। বর্তমানে অভিনেতা রুদ্রজিৎ ‘জীবনসাথী’ ধারাবাহিকে অভনয় করছেন অন্যদিকে প্রমিতা বেজায় ব্যস্ত নানান বিজ্ঞাপনের ফটোশুট নিয়ে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনে পুরুলিয়াতে বেশ জাঁকজমক ভাবে পরিবার আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে অ রিয়েল লাইফে ঘর বাঁধলেন রুমিতা। সোশ্যাল ম্যারেজ করবেন পরের বছর তার আগেই বাগদান এবং রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সেরে নিলেন।
বিয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে এখন চরম ব্যস্ততায় দিন কাটছে রুমিতার । শ্যুটিং এর ফাঁকেই শপিং, প্ল্যানিং, পাল্লা দিয়ে চলছে আইবুড়ো ভাত খাওয়ার পর্বও। তারপর এনগেজমেন্টের জন্য দুদিন ছুটি নিয়ে এনগেজমেন্টের আগে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে প্রিওয়েডিং ফটোশুট ও করেছেন। আইবুড়ো ভাত, প্রিওয়েডিং ফটোশুট, এনগেজমেন্ট সব মুহূর্ত নিজেরাই শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
আইনি বিয়ে সারার পর আর ছুটি নয়। অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই কলকাতায় ফিরে আসতে হয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় জুটিকে। কারণ দুজনেই নিজেদের শ্যুটিংয়ের জন্য বেশ ব্যস্ত। তাই দুজনেই কলকাতা ফিরে নিজেদের শিডিউল মতো শ্যুটিং করছে। রেজিস্ট্রি ম্যারেজের পর আজ প্রমিতার প্রথম জন্মদিন। আর প্রথম জন্মদিন উদযাপন করলেন নিজের স্বামীর সাথে। জন্মদিনের রাতে নিজের স্ত্রীকে বেলুন আর আলো দিয়ে ঘর সাজিয়ে সারপ্রাইজ দিলেন আর অভিনেত্রী একটি সুন্দর কেক কাটলেন। অভিনেত্রী মেরুন ওয়ান পিস আর খোলা চুল অন্যদিকে রুদ্রজিৎ সাদা কোর্ট আর ব্ল্যাক শার্ট আর জিন্স পড়েছিলেন। একে অপরকে কেক খাওয়ালেন। ক্যপশানে অভিনেত্রী লিখলেন,”যখন হাসবেন্ড সারপ্রাইজ করে”। দুরন্ত গতিতে ভয়ইরাল রুমিতার এই ভালোবাসার পোস্ট।
View this post on Instagram
