বইমেলার ব্যস্ত এক সন্ধ্যায় একজন মহিলাকে পুলিশ ডাস্টবিনে মানিব্যাগ ফেলতে দেখেন। সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ মহিলাটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় মহিলাটি ব্যাগ তল্লাশি করে প্রচুর মানিব্যাগ এবং নগদ অর্থ পাওয়া যায়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকার নগদ ক্যাশ পান। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। রূপা নাকি একটি ডায়রিও নিজের সঙ্গে রাখতেন। সেখানেই তিনি তাঁর কেপমারি সমস্ত যাবতীয় হিসাব তুলে রাখতেন। পুলিশ ডায়রিটি খতিয়ে দেখছেন। একজন অভিনেত্রীকে এভাবে পকেটমারে পরিণত হতে থাকে রীতিমতো চমকে উঠেছিলেন পুলিশরা। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয় সেখানে তাঁকে চার দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ ঘোষণা করা হয়।
রূপা দত্ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে করুণ আর্তি করন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি নিজের আদর্শ বলে মনে করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি একটি ট্যুইট লেখেন। তিনি নাকি বিজেপির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত এ কথাও তিনি দাবি করেন। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পদ্ম শিবিরের হয়ে প্রচারে নামেন।
তাঁর ট্যুইটে তিনি লেখেন,‘প্রিয় নরেন্দ্র মোদি স্যার, আমি আপনার জন্য ২০১৬ সালে বিজেপির হয়ে প্রচার করি। সেই বছর থেকেই বিজেপির হয়ে সেলিব্রেটি প্রচারের জন্য আমাকে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করতে থাকে। আমি এর আগে কৈলাশ বিজয়বর্গীকে বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার কোনও কথাই কানে নেননি। কিন্তু আপনার উপরে আমার অগাধ ভরসা আছে।’
এই রূপা দত্তর বিজেপির মুখপাত্র সৈয়দ শেহনাওয়াজ হুসেন সঙ্গেও যোগাযোগ বজায় ছিল। তাঁর একটি অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করেন রূপা। এছাড়াও বিজেপির একাধিক সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। পুনিত ইসার,সুনীল পাল, এহসান খুরেশির মত বিজেপি নেতাদের তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও বাংলার করণী সেনার সভাপতির দায়িত্ব সামলাতেন রূপা। যদিও সেই সংস্থা এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।