Rupa Ganguly: পরিকল্পনা করে ‘মেয়েবেলা’ থেকে তাড়ানো হয়েছিল: বিস্ফোরক রূপা

Nilanjana Pande

দীর্ঘদিন পর রূপা গাঙ্গুলী (Rupa Ganguly) আবারও ফিরেছিলেন অভিনয়ে। স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’-য় বীথিকা মিত্রর চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকাই এই ধারাবাহিক থেকে সরে যান রূপা। তাঁর অভিযোগ ছিল, চিত্রনাট্য যুগোপযোগী নয়। উপরন্তু ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্রকে নেতিবাচক রূপে দেখানো হচ্ছে যা পছন্দ ছিল না রূপার। তবে রূপা ‘মেয়েবেলা’ থেকে সরে যেতেই নিম্নমুখী হয়ে যায় ধারাবাহিকের টিআরপি। ফলে চ্যানেলের তরফে অফ এয়ার করে দেওয়া হয় ‘মেয়েবেলা’। অফ এয়ার হওয়ার পর আবারও ‘মেয়েবেলা’ বিতর্কে মুখ খুললেন রূপা।

ইন্ডাস্ট্রির একাংশের মত, রূপা পেশাদারিত্ব দেখাননি। এই কারণেই এত দ্রুত অফ এয়ার হল ‘মেয়েবেলা’। কিন্তু রূপা জানালেন, তিনি যেদিন ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন, অন্তত তার এক মাস আগে থেকে রূপা নির্মাতাদের তাঁর সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। রূপা বলেছিলেন, চিত্রনাট্যের এই ভার্সন তাঁর পছন্দ হচ্ছে না। এমনকি প্রযোজনা সংস্থার তরফে তাঁকে দেওয়া কথাও রাখা হয়নি বলে অভিযোগ রূপার। ‘মেয়েবেলা’-য় কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতে দুই মাস লেগেছিল রূপার। শুটিং-এর সকালে এসে পৌঁছাত প্রথম দৃশ্যের চিত্রনাট্য। এরপর একের পর এক চিত্রনাট্য আসতেই থাকত। তাতে থাকত একই কথা। রূপার কাছে স্পষ্ট হত না, একই দিনে কতগুলি দৃশ্য গ্রহণ হতে চলেছে!

রূপার মতে, যদি একটি বিশেষ সময় তোলার প্রসঙ্গ থাকে, তাহলে ধারাবাহিকের কন্টেন্ট বাড়ানো উচিত। আনা উচিত বৈচিত্র্য। উপরন্তু আগে থেকে চিত্রনাট্য দেওয়া উচিত। ‘মেয়েবেলা’-র শুরুতে প্রযোজনা সংস্থার তরফে রূপাকে কথা দেওয়া হয়েছিল, সাতটা পর্বের চিত্রনাট্য তাঁর হাতে আগেই দিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও কথা ছিল, ধারাবাহিকে মোট পনের দিন কাজ করবেন রূপা। কিন্তু পনের দিনের পরিবর্তে ছাব্বিশ দিন শুটিং করলেও অতিরিক্ত টাকা নেননি রূপা। আট ঘন্টার পরিবর্তে দশ ঘন্টা শুটিং করেছেন তিনি।

চিত্রনাট্যে অধিকাংশই থাকত রূপার সংলাপ। তা পড়ে তৈরি হওয়ার সময় পেতেন না তিনি। রূপাকে বলা হত, সেটে সহকারী পরিচালক তাঁকে প্রম্পট করবেন। রূপা তা শুনে বলে যাবেন যা রূপার কাছে চূড়ান্ত অপেশাদারিত্ব। রূপাকে বলা হয়েছিল, বাহাত্তর পাতার কাহিনী রয়েছে। অথচ তাঁর হাতে এসেছিল তিন পাতার একটি কাহিনী। নির্মাতারা বলেছিলেন বীথিকার চরিত্রে যুক্তি না খুঁজতে। কারণ এটি টেলিভিশন সিরিয়াল।

প্রযোজক বলেছিলেন, গতানুগতিক ধারাবাহিকের তুলনায় আলাদা হবে ‘মেয়েবেলা’। রূপার মতে, তাঁর নাম ব্যবহার করে বাজেট বাড়ানোর পর তাঁকেই ধারাবাহিক থেকে পরিকল্পনা করে তাড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল। রূপা ফ্লোরে একটি রেফ্রিজারেটর উপহার দিয়েছিলেন। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, খাবার দৃশ্যের সময় যে খাবারগুলি আসছে তা পরের দিন অযথা নষ্ট হচ্ছে। খাবারগুলি যাতে স্টোর করা যায়, এই কারণেই ফ্রিজটি নিয়ে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু রটানো হয়েছিল, রূপা নিজের ঠান্ডা জল খাওয়ার জন্য ফ্রিজ নিয়ে এসেছেন। কিন্তু রূপা জানালেন, তিনি ঠান্ডা জল বা কোল্ড ড্রিংক খান না। চিত্রনাট্য হয়তো পুরোপুরি অবাস্তব ছিল না। কিন্তু বীথিকা মিত্রর চরিত্রকে একজন খিটখিটে মহিলা ছাড়া আর কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না। ফলে ‘মেয়েবেলা’ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন রূপা।