Reality show

মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন রূপঙ্কর বাগচী!

ইদানিং বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছে। একের পর এক সম্পর্কে ধরছে ভাঙন। অথচ একসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দম্পতি অথবা জুটিদের রসায়ন দেখে অনেকেই মুগ্ধ হতেন। বর্তমানে তাঁদের মুখেই শোনা যায়, সম্পর্কটা ‘ওয়ার্ক’ করল না। লকডাউনের পর থেকে সংখ্যাটি যেন বেড়ে গিয়েছে। গত দেড় বছর ধরে গায়ক রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)-র জীবনে ঝড় বইছে কিংবদন্তী গায়ক কে.কে. (K.K) -কে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে। একাধিক অ্যাড জিঙ্গলস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর কন্ঠ। অচেনা হয়ে গিয়েছেন বহু চেনা মুখ। কিন্তু তাঁর স্ত্রী চৈতালী লাহিড়ী (Chaitali Lahiri) দাঁড়িয়েছেন স্বামীর পাশে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও রূপঙ্করের তরফে পোস্ট করেছেন তিনি। প্রতিবাদ করেছেন স্বামীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার। যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছেন চৈতালী। কিন্তু তবু সরে যাননি রূপঙ্করের পাশ থেকে। সহধর্মিণী রূপে তাঁর সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়েছেন চৈতালী। সম্প্রতি ‘দিদি নং ওয়ান’-এর মঞ্চেও তাঁর কন্ঠে শোনা গেল স্বামীকে সমর্থনের সুর।

জি বাংলার এই জনপ্রিয় গেম শোয়ের সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) বললেন, শুধুমাত্র স্ত্রী নন, চৈতালী রূপঙ্করের পাশে রয়েছেন ফ্রেন্ড, ফিলোজফার অ্যান্ড গাইড হিসাবে। চৈতালীর মতে, রচনার শোয়ে যেসব প্রতিযোগীরা আসেন, তাঁদের লড়াইয়ের পাশে চৈতালীর লড়াই হয়তো কিছুই নয়। যখন তিনি রূপঙ্করের সাথে জীবন শুরু করেছিলেন তাঁদের প্রারম্ভ ছিল শূন্য থেকে। ফলে কোনোদিনই কিছু হারিয়ে যাওয়ার ভয় পাননি চৈতালী। তবে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁদের কন্যাকে নিয়ে। সেই সময়টা খুব খারাপ ছিল এবং চৈতালীর প্রার্থনা, এই সময় যেন কারও জীবনে না আসে। চোখে জল এসে গিয়েছিল রূপঙ্করের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল রূপঙ্কর ও চৈতালীর কন্যাকে। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে যথেষ্ট গর্বিত রূপঙ্কর জানালেন, তাঁর জীবনে এই দুটি মানুষ ছাড়া আর কোনো কিছুই প্রয়োজন নেই। বিবাহিত জীবনের পঁচিশ বছর কেটে গেলেও চৈতালীর সাথে রূপঙ্করের বন্ধুত্ব এখনও একই রয়েছে। এখনও চৈতালী অপেক্ষা করেন রূপঙ্করের জন্য। একসাথে বসে গল্প করেন, টিভি দেখেন। রূপঙ্কর দূরে গেলে তাঁকে মিস করেন তাঁর স্ত্রী। তাঁদের বন্ধুর বৃত্তও এক।

তবে রূপঙ্করের কাছে পঁচিশ শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। দুজনে আর দুজনের কিছুই বদলাতে চান না বলে জানালেন চৈতালী। একে অপরের সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে থাকতে চান তাঁরা।

Related Articles