Bengali SerialHoop PlusReality show

Shruti-Swarnendu: সম্পর্ক ছিল সাপে-নেউলে, শ্রুতিকে নায়িকা হিসেবে নিতেই চাননি স্বর্ণেন্দু

গত রবিবার জি বাংলায় দিদি নাম্বার ওয়ান সানডে ধামাকায় দোলের বিশেষ পর্বে ছিল তারকাদের চাঁদের হাট। জিতু-নবনীতা, সোনালী-রজত, স্বর্ণেন্দু-শ্রুতি সহ আরও অনেকে। সেই বিশেষ পর্বের সূচনা হয় শ্রুতির ‘খেলব হোলি রং দেবোনা তাই কখনও হয়’ গানের মধ্যে দিয়ে। গানের মাধ্যমে আসর মাতিয়ে তোলেন শ্রুতি। গানের শেষে এই গানটি বেছে নেওয়ার কারণও অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান। শ্রুতি জানান যে স্বর্ণেন্দু সবসময় রঙের থেকে দূরে দূরে থাকে। শ্রুতি এও জানান যে তাদের দু বছরের সম্পর্কে প্রথমবার স্বর্ণেন্দু শ্রুতিকে রং দিয়েছে যেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র দিদি নাম্বার ওয়ানের জন্য।

কিভাবে শ্রুতি স্বর্ণেন্দু জীবনে আসল? স্বর্ণেন্দু রচনাকে জানান,“আমি ত্রিনয়নী বলে জি বাংলার একটি সিরিয়ালের পরিচালক ছিলাম। সেখানেই প্রথম ওর সঙ্গে আমার দেখা হয়। ওর ছবি দেখেই আমি প্রথমে ইউনিটকে জানিয়ে দিই আর কোনও হিরোইন পাওয়া গেল না একেই নিতে হবে? ওর প্রতি এটাই আমার প্রথম ইম্প্রেশন ছিল। ওর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝি ওর মধ্যে যে গুণ গুলো আছে তা আর পাঁচটা মানুষের থেকে অনেকটাই আলাদা। আমি যদি কোনোকিছু করতে বারণ করতাম ও আমায় পাল্টা প্রশ্ন করত যে কেন এটা করব না? এটা আজ অবধি আমায় কেউ জিজ্ঞাসা করেনি।”

শ্রুতি আবার স্বর্ণেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন,“আমাকে ও একদমই দেখতে পারত না। বাড়িতে গিয়ে মাকে বলত কোন দিন ওই হিরোইনটাকে থাবড়া মেরে আসব। কিন্তু তাও আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম ছেলেটাকে যখন ভালো লেগেছে যদি আমি বিয়ে করি তাহলে এই ছেলেটাকেই করব।”

শ্রুতির জেদ ছিল তাঁদের মধ্যে এই ঝগড়াকে তিনি প্রেমে পরিণত করবেন। প্রথমবার যখন স্বর্ণেন্দুর কাছে ভালোবাসা স্বীকার করেন শ্রুতি তখন স্বর্ণেন্দু কি বলেছিল জানলে আপনিও অবাক হবেন? স্বর্ণেন্দু বলেছিল যে বাচ্চা মেয়েরা নাকি এমন কথা হামেশাই বলে থাকে। এটা নাকি একটা ইনফ্যাচুয়েশন। যদিও পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার শ্রুতিকে কথা দেয় যে ছয় মাসের মধ্যে অর্থাৎ শ্রুতির জন্মদিনের দিন তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন।

কিভাবে শ্রুতিকে ভালোবাসি জানিয়েছিলেন স্বর্ণেন্দু? শ্রুতি বলেন,“আমার জন্মদিন অবধি বিষয়টা গড়াতে দেয়নি ও। জুলাই মাসে একদিন হঠাৎ আমায় ডেকে বলে যে শোন তোর সঙ্গে আমার একটা কথা আছে। কথাটা হল যে আই লাভ ইউ।” এরকম কাঠখোট্টা ভাবেই শ্রুতিকে প্রোপোজ করেন স্বর্ণেন্দু।

কবে গাঁটছড়া বাঁধছেন এই দুই চর্চিত যুগল? রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বিয়ের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করতেই শ্রুতি জবাব দেয়,“জানিনা। বিয়ে করছে না বলে আমি ওকে জোর করে এংগেজমেন্ট রিং পরিয়ে দিই।” উল্টো দিক দিয়ে স্বর্ণেন্দু জানায় যে বিয়ে না করেই ও আমার বউ হয়ে গেছে। স্বর্ণেন্দু বাড়ি গুছিয়ে দেওয়া থেকে জামা কাপড় বার করে দেওয়া সমস্ত খুঁটিনাটি কাজ করেন শ্রুতি। তাঁদের দুজনের পরিবার এক হয়ে গেছে। তাই তাঁরা বিয়ের প্রয়োজনই মনে করেন না।

whatsapp logo