প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কেকে kk) কে নিয়ে বেশ জলঘোলা করেন সঙ্গীত শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপঙ্কর যা যা বলেন তাতে করে তাকে প্রায় চোখের জলে নাকের জলে ডুবতে হয়। যারা অনুরাগী ছিলেন তারাও রূপঙ্কর বাগচীর বিপক্ষে চলে যান। অবশেষে তিনি মিডিয়ার সামনে ক্ষমা চান। পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হতেই ফের বিতর্কের মুখে রূপঙ্কর বাগচী। এবারে ব্যাপারটা ঠিক গোদের উপর বিষফোঁড়া। কেমন?
সম্প্রতি, এক উঠতি সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর বিরুদ্ধে গান চুরির অপবাদ দিয়েছেন। শুধু অপবাদ নয়, তিনি নিউটাউন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের পর্যন্ত করেছেন। যিনি অভিযোগ করেছেন তার নাম হল – মনোরমা ঘোষাল। ইনি সঙ্গীত মহলে একেবারে নতুন মুখ। এই সঙ্গীতশিল্পীর অভিযোগের আওতায় রয়েছেন রূপঙ্কর ও সঙ্গীত আয়োজক পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সঙ্গীতশিল্পীর বক্তব্য এই যে তার গান চুরি হয়েছে। কারণ, আজ থেকে প্রায় ৭/৮ মাস আগে অর্থাৎ ২০২১ এর নভেম্বর নাগাদ তিনি তার গানের শিক্ষকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন পার্থ বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এরপরে ‘সাগর তুমি কেন ডাকো’ বলে গানটি পরিবেশন করা হয়। এই গানটির জন্য মোট ৪৮হাজার টাকা খরচ হয়েছিল মনোরমার। প্রথম কিস্তিতে তিনি ১০ হাজার টাকা দেন। এরপর গত বছর ১২ ই ডিসেম্বর মুক্তি পায় গানটি। এরপর ২৮ হাজার টাকা দিয়ে গানটি পুরোপুরি কিনে নেন মনোরমা। সবই ঠিকঠাক চলছিল। এরমধ্যে হঠাৎ তাকে বলা হয় যে ইউটিউব থেকে গানটি তুলে নেওয়া হোক। কিন্তু, কেন?
কেন এর উত্তরে বলা হয় মনোরমাকে যে গানটি নাকি ইতিমধ্যে রূপঙ্কর গেয়ে ফেলেছেন। মনোরমা এরপর এও জানান যে ইউটিউব চ্যানেলের থেকে তার গাওয়া গানটি উধাও হয়ে যায় রাতারাতি! মনোরমার দাবি, তার চ্যানেলের সবকিছু পার্থর জানা ছিল, এবং এই পার্থ কিছু একটা করেছেন।
এই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে রূপঙ্কর জানান যে তিনি কিছু জানেন না, তাকে গাইতে বলা হয়েছে তিনি গেয়েছেন। পাশাপাশি পার্থ জানান যে মেয়েটি ভাল গান গাইতে পারেনি তাই রূপঙ্করকে দিয়ে গাওয়ানো হয় এবং আইনত ভাবে মনোরমাকে ওই গান বিক্রি করা হয়নি।