সাইফ পুত্র ইব্রাহিমকে দেখলেই মনে হয় সাইফের কার্বন কপি সে, অন্তত দর্শকদের বেশীরভাগ অংশ এটাই মনে করে। সবে ১৮ পার করে ১৯ এ পৌঁছেছে। দাদু মনসুর আলি খান পতৌদির মত সেও ক্রিকেট প্রেমী, কখনো কখনো ফুটবলের ময়দানেও দেখা যায় তাঁকে। জীবনের একটা সময় বাবাকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা নিয়েও নিজের পড়াশুনো, খেলাধুলো চালিয়ে গেছে ইব্রাহিম। মা অমৃতা আর দিদি সারার স্নেহে বড় হয়ে ওঠা ইব্রাহিমের কেরিয়ারের দ্বায়িত্ব নিতে চলেছেন স্বয়ং সাইফ আলি খান। শুধুই কি ইব্রাহিম? ছেলে তৈমুরের জন্যেও আগাম ভেবে ফেলেছেন সাইফ।
View this post on Instagram
সাইফের মতে তাঁর ছেলে ইব্রাহিম তাঁর থেকেও সুন্দর, সুপুরুষ। যদি সে অভিনয় জগতে আসে তবে তাঁর পূর্ণ সমর্থন থাকবে। সারার চেয়ে বয়সে ৬ বছরের ছোট ইব্রাহিম। তাই দিদির মত এক্ষেত্রে এক্কেবারে আলাদা। সারা চান তাঁর ভাই আগে কলেজের গন্ডি পার করুক তারপর অভিনয় জগতে আসুক। ২০০১ এ জন্ম নেওয়া ইব্রাহিম যে এখনও পরিনত হননি তা দিদি সারা ভালো মতন টের পেয়েছেন। এদিকে ছোট্ট তৈমুর যে কিনা এখনও স্কুলে ভালো করে বিদ্যা রপ্ত করতে পারেনি তাঁর জন্য এক চিন্তিত বাবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে রেখেছেন। তৈমুর সিনে জগতে এন্ট্রি নিক এমনটাই চান এক মধ্যবয়সী পিতা।
View this post on Instagram
প্রায় ১৩ বছর দাম্পত্য সম্পর্কে ছিলেন সইফ আলি খান এবং অমৃতা সিং এর। ২০০৪ এ বিচ্ছেদ হয় এই দুই জুটির। তখন ইব্রাহিমের বয়স মাত্র ৪। সারা ১০। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে সারা প্রসঙ্গে সাইফ বলেন, “সারা সিনেমাতে যা সাফল্য পেয়েছে, সেটা ওরই প্রাপ্তি। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন ও ডিগ্রি পেল, তখনও বাবা হিসেবে গর্বিত হয়েছিলাম। আমার ভাল লাগে যখন বাড়িতে দেখি ওর ব্যবহার কত সুন্দর। ও বুদ্ধিমতী, সুন্দর কথাও বলে। এর সব কৃতিত্ব অমৃতার।” প্রাক্তনকে আজও সন্মান করেন সাইফ কিন্তু যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন। তাই ইব্রাহিমের ভবিষ্যতের ব্যপারে ততটা জোর এই মুহূর্তে খাটাতে পারছেন না সাইফ। কিন্তু করিনা-সাইফ পুত্র তৈমুরের ব্যপারে অনেকটাই নিশ্চিত সাইফ। তাঁর মতে ইব্রাহিম যেমন সুপুরুষ ঠিক তৈমুরও বড় হয়ে গ্ল্যামারাস হিরো হয়ে উঠতে পারে। জন্মের পর থেকে তৈমুর এমনিতেই হিট তাই তাঁর বড়পর্দায় আসা কোন ব্যাপার নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছন সাইফ আলি খান।
View this post on Instagram
ইব্রাহিমের বলিউড কেরিয়ার নিয়ে মুম্বই মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সইফ জানান যে তিনি নিশ্চিত নন ইব্রাহিমকে বলিউডে লঞ্চ করার ব্যপারে। এটা একটা অপশন মাত্র। সাইফ বলেন যে ইব্রাহিমের কাছে অনেক কেরিয়ার চয়েস আছে। খেলাধূলাতেও সে বেশ তুখড়। তবে ৯-৫ টার চাকরির বদলে অভিনয়ে ওর বেশি আগ্রহ সেটা একজন বাবা হয়ে বুঝতে পেরেছেন। এই সুযোগে সাইফ একটাই উপদেশ দিয়েছেন ছেলে ইব্রাহিমকে যে ভাবনা চিন্তা করে স্ক্রিপ্ট বাছাই করা উচিত।
View this post on Instagram