বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt) সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিলেন। সুনীল দত্ত (Sunil Dutt) ও নার্গিস (Nargis)-এর পুত্র সঞ্জয়ের বলিউড ডেবিউ-ও ছিল দেখার মতো। কিন্তু একসময় সঞ্জয়কে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ঠোঙা বানিয়ে রোজগার করতে হয়েছে।
View this post on Instagram
একটি সাক্ষাৎকারে নিজেই এই ঘটনার কথা তুলে ধরেন সঞ্জয়। 1993 সালে মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় সঞ্জয়কে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় তাঁর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয় বেআইনি অস্ত্র। সঞ্জয় প্রথমে এই ব্যাপারে মুখ না খুললেও পরে তিনি নিজের আত্মরক্ষার জন্য বেআইনি অস্ত্র রাখার কথা স্বীকার করেন। তবে মুম্বই বিস্ফোরণের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেন সঞ্জয়। 2007 সালে বেআইনি অস্ত্র রাখার অপরাধে টাডা আদালত তাঁকে কারাদণ্ড দেয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টও একই রায় বহাল রাখে। অবশেষে সঞ্জয়কে নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে পুনের ইয়েরওয়াড়া জেলে যেতে হয়। 2013 সাল থেকে 2016 সাল পর্যন্ত সেখানেই কারারুদ্ধ ছিলেন সঞ্জয়।
বন্দি জীবনে সঞ্জয়কে কাগজের ঠোঙা তৈরির কাজ দিয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষ। ঠোঙা পিছু কুড়ি পয়সা মিলত। প্রতিদিন প্রায় পঞ্চাশ থেকে একশোটি ঠোঙা তৈরি করতে হত সঞ্জয়কে। সঞ্জয় জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে তিন বছর জেলবন্দি অবস্থায় ঠোঙা তৈরি করে তিনি রোজগার করেছিলেন প্রায় পাঁচশো টাকা। এরপর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সেই টাকা তাঁর স্ত্রী মান্যতা (Manyata Dutt)-এর হাতে তুলে দিয়েছিলেন সঞ্জয়।
View this post on Instagram
সঞ্জয়ের পণ ছিল, জেলের কঠিন দিনগুলি তিনি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে পার করবেন। ওই পাঁচশো টাকার মূল্য আজও তাঁর কাছে পাঁচ হাজার কোটি টাকার সমান। 2016 সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও বলিউডে অভিনেতা হিসাবে কাজ শুরু করেন সঞ্জয়।