whatsapp channel

মুছে যায়নি স্বামীর স্মৃতি, অভিষেকের স্ত্রীর পরিচয়ে সিঁদুর খেলবেন সংযুক্তা

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। মা আসছেন। প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন আপামর বাঙালি। এর মধ্যেই বারবার উঠে আসছে সিঁদুর খেলার কথা। বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুর খেলার অনুষ্ঠান মহিলাদের কাছে যথেষ্ট বিশেষ। কলকাতার…

Avatar

Nilanjana Pande

Advertisements
Advertisements

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। মা আসছেন। প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন আপামর বাঙালি। এর মধ্যেই বারবার উঠে আসছে সিঁদুর খেলার কথা। বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুর খেলার অনুষ্ঠান মহিলাদের কাছে যথেষ্ট বিশেষ। কলকাতার কিছু বিখ্যাত মন্ডপে ইদানিং চল হয়েছে সেলিব্রিটিদের সিঁদুর খেলার। সেই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। চলতি বছরে অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)-র স্ত্রী সংযুক্তা (Sanjukta Chatterjee)-র বারবার মনে পড়ছে স্বামীর কথা। বাড়িতে প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করতেন অভিষেক। গত বছর তাঁর অকালপ্রয়াণের পর পুজোর সময় সংযুক্তা তাঁদের একমাত্র কন্যাসন্তান শাইনা (Shaina) ওরফে ডলকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেকের ছবি।

Advertisements

কিন্তু চলতি বছর নিজেই বাড়িতে আবারও দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন সংযুক্তা। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, অভিষেকই যেন তাঁকে দিয়ে সব করিয়ে নিচ্ছেন। এমনকি বাড়িতে আসা অতিথিরাও টের পাচ্ছেন দৈবী অস্তিত্ব। সংযুক্তার দৃঢ় বিশ্বাস, অভিষেকের নশ্বর শরীর না থাকলেও তাঁদের জীবনের প্রতিটি পর্বে মানুষটির অস্তিত্ব। ফলে চলতি বছর বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুর খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংযুক্তা। তাঁদের বিয়ের দিন অভিষেক, সংযুক্তার সিঁথি রাঙিয়ে দিয়েছিলেন সিঁদুরে। তাঁকে দিয়েছিলেন স্ত্রীর মর্যাদা। অভিষেকের অবর্তমানেও সংযুক্তার পরিচয় তাঁর স্ত্রী হিসাবে। এখনও অভিষেকের দেওয়া নোয়া নিজের হাতে পরে থাকেন সংযুক্তা। এই কারণে সিঁদুর খেলা তাঁর কাছে নিষিদ্ধ নয় বলে মনে করেন সংযুক্তা।

Advertisements

অভিষেককে ভুলে অন্য কাউকে বিয়ের কথা ভাবতেও পারেন না সংযুক্তা। তিনি চিরকাল অভিষেকের স্ত্রী হয়েই বেঁচে থাকতে চান। অভিষেকের প্রতি তাঁর অন্তরের ভালোবাসা কেড়ে নিতে পারবে না সমাজ। পাশাপাশি সংযুক্তা জানিয়েছেন, সিঁদুর খেলা সংক্রান্ত মতামত অবশ্যই তাঁর নিজের। কারোর উপর এই মত চাপাতে চান না তিনি।

Advertisements

এই প্রসঙ্গে অবশ্যই একটি কথা উল্লেখ করা উচিত। সিঁদুর বা সিন্দুর প্রকৃতপক্ষে নারীর ষোড়শ শৃঙ্গারের অঙ্গ। যদি শাস্ত্র সঠিক ভাবে মানা হয়, তাহলে নারী কখনও কুমারী, সধবা, বিধবা নামে দাগিয়ে দেওয়ার বস্তু নন। স্বতন্ত্র মানুষ হিসাবে তাঁর অস্তিত্ব রয়েছে। রয়েছে মানবিক জীবনের যাবতীয় অধিকার। ফলে ষোড়শ শৃঙ্গার করার ক্ষেত্রে নারীকে বাধা দেওয়ার অধিকার সমাজের নেই। পুনশ্চ : ‘মনুসংহিতা’ নিয়ে মাতামাতির কারণ নেই। এটি শুধুমাত্র একটি গ্রন্থ। তা শাস্ত্র নয়।

Advertisements
whatsapp logo
Advertisements