Satabdi Roy: কর্মীর বাড়িতে খাবারে অনীহা, কলকাতার দোকানে কুনালের সঙ্গে সাঁটিয়ে পোলাও খেলেন শতাব্দী
বীরভূমের মাংস ভাতের পর এবার কলকাতার ফুটপাতের বাসন্তী পোলাও। খাবার বিতর্কে ফের শিরোনামে তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। ভোটের আগেই খাবার থালায় অস্বস্তি যেন কমছেই না রাজ্যের শাসক দলের। আর এই বিতর্কে এবার নতুনভাবে জড়িয়ে গেল বীরভূমের তৃণমূল সাংসদের নাম। ঘটনাটি ঠিক কি? দেখে নিন।
শুক্রবারের ঘটনা। বীরভূমে জেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছিলেন সেখানের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়। আর জনসংযোগ সেরে সেই এলাকার তেঁতুলিয়া গ্রামে এক গরিব তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করার কথা ছিল তার। সেই বাড়িতে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে মাটিতে খেতে বসেন সাংসদ। শালপাতায় ভাত, এঁচোড়ের তরকারি ও খাঁসির মাংস পরিবেশন করা হয়। কিন্তু ছবি তুলে খাবার মুখে না তুলেই সেখান থেকে উঠে যান তিনি। আর সেই মুহূর্তের ভিডিও তুমুল ভাইরাল হয় নানা মাধ্যমে। এরপরেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় শাসকদলকে। যদিও বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় এক নেতা। তিনি অভিনেত্রীর ক্লান্তির প্রসঙ্গ টেনে বলেন যে তিনি নাকি ঘরের ভেতরে খেয়েছেন। যদিও ঘটনার পর বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার।
আর এই ঘটনার পরদিনই কলকাতায় ঘটল আরেক ঘটনা। শনিবারই তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়কে শহর কলকাতার ফুটপাথে বসে বাসন্তী পোলাও খেতে দেখা গেল। তবে তিনি একা নন, সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। শনিবার বিকেলের দিকে ডেকার্স লেনের ক্লাসিক ফাস্ট ফুড সেন্টারের সামনে যান শতাব্দী। সেখানে বাসন্তী পোলাও ও লেমন ফিসের অর্ডার দেন তিনি। তারপর দুজনে ফুটপাতে আরো পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই বসে বসে খাবার খান কিছুটা সময় ধরে। তারপর তারা চাও খান বলে জানা গিয়েছে। খুশিমনে তারা খাবার খান বলেই জানা গেছে।
যদিও বীরভূম বিতর্কে নিজেদের অবস্থান সাফ করেছে শাসকদল। এই নিয়ে এদিন শতাব্দী রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে তিনি ওই কর্মীর বাড়িতেই খাওয়াদাওয়া করেছেন। এই ঘটনা প্রথমবার নয়, এটি আগেও অনেকবার হয়েছে বলে জানান তিনি। এই সব বিতর্ককে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষও।