whatsapp channel

কাঁচি দিয়ে বম্ব ডিফিউজ! গাঁজাখুরি গল্প সত্ত্বেও শেষ দিন অবধি সুপারহিট ‘কে আপন কে পর’

2016 সালের 25 শে জুলাই শুরু হয়েছিল স্টার জলসার জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল ‘কে আপন কে পর'। 2016 সালে শুরু হয়ে 2020 সালের 27 শে ডিসেম্বর শেষ হয়েছিল ‘কে আপন কে…

Avatar

HoopHaap Digital Media

2016 সালের 25 শে জুলাই শুরু হয়েছিল স্টার জলসার জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল ‘কে আপন কে পর’। 2016 সালে শুরু হয়ে 2020 সালের 27 শে ডিসেম্বর শেষ হয়েছিল ‘কে আপন কে পর’। এর মধ্যেই ‘কে আপন কে পর’-এর নায়িকা জবা কাঁচি দিয়ে বম্ব ডিফিউজড করেছিল। বম্ব স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত কোনো ব্যক্তি যদি এই প্রতিবেদন পড়েন, তাহলে দয়া করে অজ্ঞান হয়ে যাবেন না। এই ঘটনা ঘটিয়ে ‘কে আপন কে পর’ শেষ দিন অবধি টিআরপি ধরে রেখেছিল।

প্রকৃতপক্ষে ‘কে আপন কে পর’-এর চিত্রনাট্য আবর্তিত হচ্ছিল সমাজের তথাকথিত নিচুতলার মেয়ে জবার জীবন ঘিরে। বাড়ির কাজের মেয়ে থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে জবার উত্তরণের কাহিনী সত্যিই প্রশংসিত হয়েছিল। এমনকি জবার সঙ্গে বাড়ির ছেলের বিয়ে সমাজে উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল।

কিন্তু সমস্যা শুরু হল তখন থেকে, যখন দেখা গেল জবা পড়াশোনা না করেই আইনজীবি হয়েছে। তবুও দর্শকরা তা মেনে নিয়েছিলেন। এরপর এল জবার কাঁচি দিয়ে বম্ব ডিফিউজড করার পালা। তাও দর্শক মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কাঁহাতক আর সহ্য হয়। কিন্তু দিওয়ালির রাতে জবাকে খুন করা হয়। কিন্তু সে তো জবা। জবা অমর। ফলে জবা এবার কবর খুঁড়ে বেরিয়ে এসে পঞ্জাবি শিখ পুরুষ সেজে রহস্যভেদ করে। এরপর অবশেষে জবার কাহিনীর ‘হ্যাপি এন্ডিং’ হয়।

এবার আসা যাক, এইধরনের চিত্রনাট্য সিরিয়ালের টিআরপি বাড়ালেও সমাজের কাছে কতটা বার্তাবাহী, এটি একটি বড় প্রশ্ন। চিত্রনাট্য উঠে আসছে সমাজের বাতাবরণ থেকে। কিন্তু কাঁচি দিয়ে বম্ব ডিফিউজড করার ঘটনার মতো গাঁজাখুরি ঘটনা দেখানো হলে সমাজের কাছেও ভুল বার্তা যায়। তাই টিআরপি যতই বেশি হোক না কেন, সমস্ত ধারাবাহিকের উচিত চিত্রনাট্যে অযথা ভুল তথ্য না ঢোকানো।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media