কিং খান যেমন সিনেমাতে রোম্যান্টিক তেমনি তিনি বাস্তবে ততটাই রোম্যান্টিক। তাই তো শাহরুখকে বলিউডের রোম্যান্স কিং বলা হয়। ২৯ বছর আগে শাহরুখের কেরিয়ার শুরুর আগেই গোঁড়া হিন্দু পরিবারের মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেন। প্রথমদিকে পরিবারের মধ্যে আপত্তি ছিল ঠিকই, কিন্তু সেসবে কখনওই পাত্তা দেননি এই যুগল।
১৯৯১ সালে শাহরুখ বিয়ে করেন গৌরিকে। সেই থেকে তাদের পথচলা শুরু। ২৯ বছরে এক ফোঁটাও প্রেম কমেনি। এর আগেও দীর্ঘদিন ধরে ছিল প্রেমের সম্পর্ক। আর সেই সময় এদের প্রেমে ছিল নানান মজার তথ্য। ২০১৬ সালে কপিল শর্মা শো-তে এসে শাহরুখ খান শেয়ার করেছিলন নিজেদের প্রেমের এক অভিজ্ঞতার গল্প।
আজ শাহরুখের পাকাপাকি অবস্থান যদি মুম্বাই হয় তাহলে কিং খানের অতীত জীবনের এক বড় পার্ট ছিল দিল্লিতে। দীর্ঘ দিন দিল্লিতে থাকার সময়ে গৌরির সাথে প্রেমে মজেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সেই বাদশাই আজ স্ত্রীকে দিল্লীর রাস্তায় হাঁটতে ভয় পান। রাস্তায় হাঁটতে আবার ভয় কিসের? আবার বাদশা এত ভয় পান। কি হয়েছিল অতীতে।
আসলে এর পিছনে এক গল্প আছে। চলুন আজ এটাই জানা যাক। বাদশা নিজের পড়াশোনাফ জন্য দিল্লীতে থাকতেন তা সকলেরই জানা। সেইসময় গ্রীন পার্কে থাকতেন শাহরুখ। তখন একজন মেয়ের সাথে পরিচয় হয় তারপর ভালো বন্ধুত্ব হয়। সেই সময় মেয়েটির সঙ্গে দিল্লিতে সময় কাটাতেন তিনি। একদিন বাদশা একটি পার্কে সময় কাটাতেন। কিন্তুব তখন দিল্লিবাসী আজকের মতো এত উন্নতি ছিলনা। তখন মানুষ ভাবতেন ‘গার্ল ফ্রেন্ড’–এর অর্থ হল মাঝে মাঝে একসঙ্গে ঘোরাফেরা করা আর মজা করা।
এমন সময়ে হঠাৎ সিনেমার মতো কিছু গুন্ডা সেখানে এসে হাজির। অভিনেতাকে জিজ্ঞাসা করেন সাথে এই মেয়েটি কে? শাহরুখও বলেন মেয়েটি তাঁর বান্ধবী। যদিও গুন্ডাদের বলেছিলেন, তিনি কেবলই বন্ধু, বান্ধবী মানে কিন্তু প্রেমিকা নয়। কিন্তু গুন্ডারা বিশ্বাস করতে নারাজ। তারপর ওরাই উল্টে প্রহর করতে শুরু করেন। একজন তো আবার মাটির ভাড় দিয়ে মেরেই দেন অভিনেতাকে। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এখনো দিল্লির রাস্তায় স্ত্রীকে নিয়ে বেরোতে ভয় পান আজকের বাদশা।