শাহরুখ খান এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের কেমিস্ট্রি আজও বহু ফ্যানদের মনে নাড়া দেয়। আর ‘মহব্বতে’ ছবি ছিলো তাদের রসায়নের অন্যতম ছবিগুলোর মধ্যে একটি। ছবির প্রত্যেকটি গান ৯০ দশকে তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। হামকো হামিসে চুরালো গানটিতে বরফাবৃত পাহাড়ের বুকে শিফন শাড়ি ঐশ্বর্য রায় মুগ্ধ করেছিলেন দর্শকদের। এতো হল অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি তাহলে অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রি কেমন ছিল এই জুটির?
এই জুটিকে পছন্দ করতো সাধারণ মানুষ। কিন্তু একটা সময়ে এক নয়, একাধিক ছবি থেকে ঐশ্বর্যকে বাদ দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। কেন বাদ হতে হয়েছিল নায়িকাকে এই নিয়ে প্রশ্ন বহু মানুষের। এবার ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জন্মদিনে নতুন করে সামনে এল এক নতুন তথ্য।
একাধিক হিট ছবি বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের ঝুলিতে আসে। সদ্য ৪৭ এ পা দিয়েছেন নায়িকা। তবু অসংখ্য মানুষের হার্টথ্রব তিনি। কিন্তু তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারের পথ কখনোই মসৃণ ছিল না। যেদিন তিনি মিস ওয়াল্ড হয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন, সেদিনের লড়াইটা ছিল অন্যরকম। আর সেই তিক্ত অভিজ্ঞতাই তারকাই সিমি গারেওয়ালের একটি চ্যাট শোয়ে দ্বিতীয়বার গিয়ে শেয়ার করেন।
অ্যাশ জানান প্রথমে, শাহরুখ খান-রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ’চলতে চলতে‘ ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ঐশ্বর্যকে ছবি থেকে বাদ দেন শাহরুখ খান।পরিবর্তে নেন রানিকে। এই ছবি ছিল বক্স অফিসে সুপার ডুপার হিট। কিন্তু কেন অ্যাশ বাদ পড়েন সেই কারণ অভিনেত্রী নিজেও জানেননা। এতেই শেষ নয়, ঐশ্বর্যা জানিয়েছেন, তাঁর ও শাহরুখের ‘বীর জারা’ সহ আরো ৪টি ছবিতে এক সঙ্গে অভিনয়ের কথা ছিল। কিন্তু কোনও কারণ না দেখিয়ে সব কটি ছবি থেকে তাঁকে বাদ দিয়ে দেন শাহরুখ।
সিমি গারেওয়াল এরপর নিজেই শোয়ে জানান, এই স্টেজেই একদিন সঞ্চালিকা নিজেই কিং খানকেও প্রশ্ন করেছিলেন। শাহরুখ উত্তরে জানিয়েছিলেন, আসলে সেই সময় ঐশ্বর্যর ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িয়ে পড়ছিলেন তিনি। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। তবে বিষয়টা যে ঠিক হয়নি, সে কথাও মেনে নেন বাদশা। তবে ঐশ্বর্য পাল্টা জবাব দেন সিমিকে। তিনি বলেন, নিজের বাদ হওয়া নিয়ে জবাবদিহি চাওয়া তাঁর চরিত্রবিরুদ্ধ ছিল। যদি কেউ জানাতে চায় তাহলে সে জানাবে আর না চাইলে জানাতে হবে না।
অবশ্য বলিউডে কান পাতলে শোনা যায়, সলমনের সাথে শাহরুখের শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক ও সলমন-ঐশ্বর্যের সম্পর্কও হয়তো এর নেপথ্য কারণ ছিল। এসবের পরও কিন্তু ঐশ্বর্য এবং শাহরুখ খুব ভালো বন্ধু। শেষবার এদের একসাথে “অ্যায় দিল হে মুশকিল ” সিনেমাতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। অবশ্য এই সিনেমায় একটি খুব কম সময়ের জন্য বাদশাকে দেখা যায়।
