বিদ্রুপের উত্তর দিলেন স্নিগ্ধজিৎ, এলেন ফেসবুক লাইভে
চলতি বছরে সারেগামাপা-র মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন বাংলার স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক (Snigdhajit Bhowmik)। সম্প্রতি ‘বদতমিজ দিল’ গানটি নিজস্ব ভঙ্গীতে গেয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। শোয়ের তিন বিচারক বিশাল দাদলানি (Vishal Dadlani), শঙ্কর মহাদেবন (Shankar Mahadevan), হিমেশ রেশমিয়া (Himesh Reshmiya) রীতিমতো মন্ত্রমুগ্ধ স্নিগ্ধজিৎ-এর গানে। কিন্তু নেটিজেনদের একাংশ ইতিমধ্যেই ট্রোল করতে শুরু করে দিয়েছেন স্নিগ্ধজিৎ-কে। কারণ তাঁদের মতে, জি বাংলার প্রতিযোগী হিসাবে স্নিগ্ধজিৎ বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে নেটিজেনদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
ফেসবুক লাইভে এসে স্নিগ্ধজিৎ জানিয়েছেন, কলকাতায় একবার, মুম্বইতে চারবার অডিশন দিয়ে তবেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। যাঁরা তাঁর উপর ভরসা রেখেছেন, তাঁদের সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে চান স্নিগ্ধজিৎ। কিন্তু সিলেকশনের ক্ষেত্রে কোনও ফিক্সিং ছিল না। তাঁর থেকেও প্রতিভাবান গায়ক এই দেশে থাকতেও তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন স্নিগ্ধজিৎ। রবিবারের এপিসোডে পারফরম্যান্সের পর কেঁদে ফেলেছিলেন স্নিগ্ধজিৎ। এরপর তাঁর স্ত্রী অদিতি (Aditi) স্নিগ্ধজিৎ-কে ভিডিও কলে অভিনন্দন জানানোর সময় তাঁর পিছনে দেখা যায় টালির চাল দেওয়া মাটির বাড়ি। ঘরের দেওয়াল ফাটা। এরপরেই বিতর্ক শুরু হয়।
নেটিজেনদের একাংশ বলতে শুরু করেন, স্নিগ্ধজিৎ নাটক করছেন। কিন্তু তিনি বলেন, আজ সকলের দয়ায় তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি সচ্ছল হলেও তিনি একসময় ওই গ্রামের বাড়ি থেকেই শুরু করেছিলেন। স্নিগ্ধজিৎ-এর মা অসুস্থ হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি ছাড়া পেয়েছেন। এই কারণে অদিতি গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন।
স্নিগ্ধজিৎ জানিয়েছেন, অদিতি তাঁর বিবাহিত স্ত্রী। এগারো বছর আগে বিয়ে হয়েছে তাঁদের। সহানুভূতি অর্জনের জন্য অদিতিকে গ্রামের বাড়িতে রাখেননি স্নিগ্ধজিৎ। 2005 সাল থেকে তিনি গায়ক হওয়ার জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। লকডাউনের জেরে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েই সারেগামাপা-র মঞ্চে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্নিগ্ধজিৎ।