দিল্লির তুলনায় কলকাতা অনেক বেশি নিরাপদ। কলকাতা পুলিশের জন্যই এ শহরের মেয়েরা রাতে একা বাড়ি ফিরতে পারে। এমনি দাবি করলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। আরজিকর কাণ্ডে ১৪ ই অগাস্ট মুখ খুলে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের পাশে দাঁড়ান তিনি। সেই সঙ্গে কলকাতা পুলিশেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন সোহম।
আরজিকর কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকে মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও ১৩ ই অগাস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে নীরবতা ভঙ্গ করেন রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। মৃতা তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর আসন্ন ছবি ‘খাদান’ এর টিজার লঞ্চের তারিখও পিছিয়ে দেন দেব। তারপর দিনই দেবের দেখাদেখি মুখ খোলেন সোহমও। সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিনেতা বিধায়কের বক্তব্য, ১৪ ই অগাস্ট মধ্যরাত প্রতি বছর দেশবাসীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৭ সালের ১৪ ই অগাস্ট মধ্যরাতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আর এ বছর সেই রাত আরো গুরুত্বপূর্ণ ‘মেয়েরা রাত দখল করো’র কারণে। তাকে সমর্থন জানিয়েই এই বার্তা বলে মন্তব্য করেন সোহম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়া উচিত আর যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীর কঠোরতম শাস্তি হোক এটাই চাইব। লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে কলকাতার একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও চাই বিচার হোক, যেটা সত্যি সেটা সকলের সামনে আসুক। প্রতিবাদের ভাষা যার যে রকম হোক সেভাবেই যেন প্রতিবাদ করে। কোনও মহিলার উপরে এ রকম জঘন্য অপরাধ করার কথা আর যেন কখনও কেউ না ভাবতে পারে।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘বয়সে আমার থেকে অনেকটা ছোট ওঁ, তাই দাদা হিসাবে চাই ওঁর ন্যায় হোক। বোনটার পরিবারকেও আমার সমবেদনা রইল, সঠিক বিচার না হওয়া অবধি সবাই এভাবেই আপনাদের পাশে থাকবে, ন্যায় পাবেই বোনটা’।
আরজিকর কাণ্ডে অনেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে সোহম সাধুবাদ দিয়ে বলেন, কলকাতা পুলিশের তৎপরতার কারণেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে দেখছে প্রশাসন। তাঁর কথায়, দিল্লির সঙ্গে শহর কলকাতার এখনো অনেক ফারাক। কলকাতা পুলিশ আছে বলেই শহরের মেয়েরা কাজ শেষে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে।
Instagram-এ এই পোস্টটি দেখুন