একুশের নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল। এক্কেবারে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার মসনদে এবার মমতা ব্যানার্জি। তার সমস্ত সৈনিকরা এইবারের যুদ্ধে জয় লাভ করেছে। তাই একপ্রকার খুশি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর (Chandipur) কেন্দ্রর প্রার্থী সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)।
কিন্তু, এই আনন্দের মধ্যেই এলো দুঃসংবাদ। পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন চলে গেলেন চিরতরে। হ্যাঁ, মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন সোহমের শ্যালিকা। তার নাম পারমিতা নাথ, বয়স ৩৫।
কেষ্টপুরের এএইচ ব্লকের অভিজাত আবাসনে থাকতেন সোহমের শ্যালিকা পারমিতা। এবং ওই আবাসনের দোতলার ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয় পারমিতা দেবীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটে রবিবার। পরবর্তীতে পুলিশ এলে শরীর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
এদিন খবর পেয়েই কেষ্টপুরে পৌঁছান সোহমের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পারমিতা নাথের স্বামী রুদ্রপ্রসাদ ও শাশুড়ি বাসন্তী নাথকে গ্রেপ্তার করা হয়। দু’জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অবশ্য, প্রার্থমিক তদন্তের পর পুলিশ অনুমান করেন যে , দিনের পর দিন অত্যাচারের জেরে মানসিক অবসাদেই আত্মঘাতী হয়েছেন পারমিতা নাথ।
উল্লেখ্য, এই বারের নির্বাচনে সোহম হারিয়েছেন হেভি ওয়েট প্রার্থীদের। এদিন জয়ের পর ফেসবুকে অভিনেতা লেখেন, “এই জয় আমার জয় নয়, এই জয় গোটা চণ্ডীপুর বিধানসভার জয়, এই জয় গোটা বাংলার জয়, এবং এ জয় আমাদের নেত্রী শ্রদ্ধেয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয় এবং তার জয়।” তাহলে কি শ্যালিকার মৃত্যু তদন্ত সঠিক ভাবে এগোবে? পারমিতা নাথের সুইসাইড কেসের কি কোনো কিনারা করতে পারবেন জয়ী সোহম চক্রবর্তী?