ইন্ডাস্ট্রিতে শিশুশিল্পী হিসাবে আবির্ভাব ঘটেছিল সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)-র। সেই সময় সোহমের নাম ছিল মাস্টার সোহম। তাঁর অভিনীত একাধিক ফিল্মের সংলাপ আজও যথেষ্ট বিখ্যাত। ফিল্মের গন্ডিতেই সোহমের বড় হয়ে ওঠা। একসময় নায়ক হিসাবে বড় পর্দায় আবির্ভাব ঘটে তাঁর। সোহম অভিনীত ফিল্মগুলি যথেষ্ট হিট হয়েছিল। বর্তমানে তিনি একজন অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি প্রযোজক ও রাজনীতিক। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) সঞ্চালিত টক শো ‘অপুর সংসার’-এ এসে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)-র রহস্য ফাঁস করলেন সোহম।
পরিচালক রাজ অভিনেতা সোহমের বন্ধু ও রাজনৈতিক সতীর্থ। ‘রাজদা’ বলে তাঁকে সম্বোধন করেন সোহম। রাজ পরিচালিত ফিল্মে অভিনয়ের সময় সোহম বরাবরের মতোই কোনো ডায়েট বা ওয়ার্কআউট করে নিজেকে তৈরি করেন না নায়কের চরিত্রে। তাঁর একটাই কথা “হয়ে যাবে রাজদা”। সোহম অবশ্য টার্গেট ফুলফিল করেই দেন। তবে রাজকে নিয়ে মজা করতেও ছাড়েন না তিনি। সোহম বলেন, রাজের মন এত বড়, তিনি কোনো নারীকেই না বলতে পারেন না! নায়কের কথা শুনে হেসে ফেলেন শাশ্বত। শাশ্বতরও প্রশ্ন, কেন রাজ কোনো নারীকে না বলতে পারেন না! তবে সোহম স্বীকার করলেন, তিনি ভুতে ভয় পান।
শুটিংয়ের আউটডোরে কাঠমান্ডুতে গিয়েছিলেন সোহম। সেখানে যে ঘরে তিনি ছিলেন, সেই ঘরে অদ্ভুত অস্বস্তি হত তাঁর। সবসময়ই মনে হত, তাঁর সাথে কেউ আছেন। ভারি হয়ে যেত শরীর। গায়ে কাঁটা দিত সোহমের। এমনকি সোহমের মেকআপ আর্টিস্টও একই অস্বস্তি অনুভব করেছিলেন।
তবে সোহমের সাথে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের উপর একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেও অদ্ভুত অস্বস্তি হচ্ছিল সোহমের। শুটিং ইউনিটের এক সদস্য তো একটি মেয়ের কালো ছায়া দেখেছিলেন যে বাথরুম থেকে বেরিয়ে ঘর খুলে ঢুকে যাচ্ছে। সোহমের কথা শুনে শাশ্বতর গায়ে কাঁটা দিলেও পর্দার অনিমেষ অবশ্য তা প্রকাশ করেননি।