Hoop Life

Breast Cancer: কোন মারাত্মক ভুলে বাড়ছে নারীদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা!

আমরা অজান্তেই নিজেদের ভুলবশত স্তন ক্যান্সারের শিকার হই। বর্তমানে স্তন ক্যান্সারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে জীবনযাপনে পরিবর্তন খাওয়া-দাওয়ায় বদ অভ্যাস এবং এক্টিভিটিস কম হওয়ার কারণে শরীরে বাসা বাঁধছে নানান রকমের রোগ। যার মধ্যে একটি অন্যতম রোগ ক্যান্সার। স্তন ক্যান্সারের নানা কারণ থাকতে পারে। কয়েকটা জেনেটিক অথবা বংশগত সেখানে আপনার কিছু করার নেই কয়েকটা কথা মেনে চললেই বংশগত বা জিনগত ক্যান্সারকে আপনি রোধ করতে পারেন।

স্তন ক্যান্সার হওয়া বিভিন্ন কারণ -»

প্রথমত, অতীতে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যেত এবং সন্তানের সংখ্যাও বেশি থাকার কারণে মাতৃদুগ্ধ পান করে সন্তানরা বড় হতো। কিন্তু বর্তমানে বিয়ের বয়স অনেক বেড়ে গেছে, ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক কারণেই সন্তান জন্ম হয় অনেক বেশি বয়সে। অনেক মেয়েরা আবার এত ব্যাস্ত থাকে, তারা মাতৃদুগ্ধ পান করানোর সময় পান না। তার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।

দ্বিতীয়তঃ, বর্তমান প্রজন্মের মহিলারা অনেক বেশি জাঙ্ক ফুডে আসক্ত। আগেকার দিনে মহিলারা ঘরোয়া খাবার খেতেন তাদের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে আমাদের আধুনিক জীবনে আমরা ঘরোয়া খাবার এর থেকেও রাস্তার ধারের জাঙ্কফুড বেশি পছন্দ করি। অথবা চটপট রান্না হয়ে যাবে এমন প্যাকেটজাত খাবার বেশি অভ্যস্ত। কিন্তু এগুলো শরীরের মধ্যে গিয়ে বিষের মতন কাজ করে। স্তন ক্যানসারের জন্য এই সমস্ত প্যাকেটজাত টিনজাত কোলড্রিংস এবং জাংক ফুড ভীষণভাবে দায়ী।

তৃতীয়তঃ, আগেকার দিনের মহিলারা সাজসজ্জার সরঞ্জাম হিসাবে অনেক বেশি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতেন। শ্যাম্পু করার জন্য রিঠা বা গায়ের সুগন্ধির জন্য আতর অথবা চন্দনের তেল ইত্যাদি ব্যবহার করতেন। কিন্তু বর্তমানে পুরো বিষয়টি হয়ে গেছে কসমেটিকস নির্ভর আর এই কসমেটিকস এর মধ্যে রয়েছে বিষাক্ত উপাদান। যা আপনার চুল এবং ত্বক খারাপ করার পাশাপাশি শরীরের ভেতরে প্রবেশ করাচ্ছে বিষাক্ত দূষিত পদার্থ। এর ফলে আপনার স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও মশা মারার ধুপ, মশা মারার স্প্রে নানান রকমের কীটনাশক স্প্রে ডিওডোরেন্ট ইত্যাদির ফলে আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে বিষাক্ত পদার্থ।

চতুর্থত, সঠিক আকারের অন্তর্বাস পরতে হবে অন্তর্বাস যদি আপনার স্তনের আকার এর থেকে বড় হয় তাহলে স্তনের টিস্যুগুলোকে সাপোর্ট দিতে পারে না আর যদি অন্তর্বাস ছোট হয় তাহলে টিসু গুলি প্রাণখুলে বাঁচতে পারে না। অনেক সময় দেখা যায় দীর্ঘক্ষন টাইট ব্রেসিয়ার পরে থাকার ফলে স্তনের টিস্যু ছিঁড়ে গিয়ে বিপত্তি ঘটতে পারে। এবং দীর্ঘদিন এমনটা চললে স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যাবে। তাই সঠিক আকারের অন্তর্বাস পড়ুন। সব সময় অন্তর্বাস পরা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। সর্বদা ব্রেসিয়ার পরে থাকলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ঘাম জমে স্তন শ্বাস নিতে পারে না।

পঞ্চমত, অনেক সময় লেভেল না দেখে ডিওডোরেন্ট ইউজ করার প্রচলন অনেকটাই বেড়ে গেছে। এর ফলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যাচ্ছে।

স্বাভাবিক উপাদান প্রাকৃতিক উপাদান যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে স্তন ক্যান্সার কে অনেক ভাবে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। যদি জিনগত কারণে স্তন ক্যান্সার থাকে তাহলে অবশ্যই এমন কিছু খাবার প্রতিদিন খেতে হবে যার ফলে ক্যান্সারের বিষ আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। যেমন টমেটো, কাঁচা হলুদ ইত্যাদি প্রতিদিন নিয়ম করে খেতে হবে। তবে অবশ্যই বাড়াবাড়ি কিছু বুঝলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

whatsapp logo