গত কাল ছিল কালীপুজো আর আজ দীপাবলি। দীপাবলির আনন্দে যখন সকলে মেতে আছেন সেখানেই চুপিচুপি সকলকে একা রেখে ফেলুদা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। যেখান থেকে ফেলুদাকে আমাদের মধ্যে কেউ আর ফিরিয়ে আনতে পারবেননা। বাংলা চলচ্চিত্রে একটা যুগের অবসান। করোনাকে হার মানালেও শেষরক্ষা হল না। জীবনের ৮৫টি বসন্ত পেরিয়ে হার মানতে বাধ্য হলেন বাঙালির আদি অকৃত্রিম ‘ফেলুদা’। দ্বিগবিজয়ী অভিনেতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা বিনোদন জগৎ।
৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ৬ অক্টোবর তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। প্লাজমা থেরাপির পর তাঁর করোনাকে হারাতে পেয়েছিলেন। তারপর ১৪ অক্টোবর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। সেইসঙ্গে চিকিৎসাতেও সাড়া দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু আচমকাই ফের তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। চিকিৎসকরা জানান, সৌমিত্রের শরীরে সমস্যার প্রধান কারণ কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি। তাঁর চেতনার মাত্রা ক্রমশ কমতে থাকে। ফেলুদাকে সুস্থ করার জন্য দিন রাত এক করে মেয়ে এবং স্ত্রীর কাছে ফেরানোর জন্য লড়াই শুরু করেন। কিন্তু আজ বেলা ১২ টা ১৫ মিনিটে সব থমকে গেল। ভেঙে পড়লেন ডাক্তার সহ মেয়ে পৌলমি।
করোনা পরিস্থিতিতে ফেলুদার শেষযাত্রায় সামিল হতে পারবেননা সাধারণ মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় না জমানোর জন্য প্রার্থনা করেছেন তাঁর কন্যা। তিনি বললেন বাবার মৃত্যুতে মায়ের শরীরের অবস্থা ভালো নেই। এবং এই মুহুর্তে করোনাকেও এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। আরো বললেন, আমি সকলকে অনুরোধ করছি দয়া করে কেউ আসবেন না। জানি, আপানারা শেষবারের জন্য আপানাদের প্রিয় অভিনেতাকে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন। বরং বাড়ি থেকেই আপনারা বাবার শান্তি কামনা করবেন”।
অভিনেতাকে দুপুর দুটোর সময়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গল্ফগ্রীনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে কিছুক্ষণ রেখে টালিগঞ্জের টেকশিয়ান ঘরে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর মরদেহ রবীন্দ্র সদনে দুপুর ৩ঃ১৫ থেকে ৫ঃ৩০ পর্যন্ত রাখা হবে। সেখানে অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। তারপর শেষ যাত্রার পর কেওড়াতলা মহা শ্মশানে সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ মিনিটে নিয়ে যাওয়া হবে। ক্ষিত দা র লড়াই শেষ হলে তিনি চিরস্মরণীয় থাকবেন সারাজীবন। সবার কাছে ফাইটার হিসেবে থাকবেন ক্ষিতদা