চলে গেলেন কনির ক্ষিতদা। টানা ৪০ দিনের লড়াই গত ১৫ নভেম্বর শেষ হয়ে গেল অবশেষে। করোনাকে হারালেও শেষ রক্ষা হলনা। তাঁর পূর্ববর্তী শারীরিক পরিস্থিতি এবং বয়সজনিত নানানসমস্যা দিন দিন বেড়েই যায়। মাল্টি অর্গ্যান ফেলিউরের কারণে রবিবার দুপুর ১২.১৫ মিনিটে মৃত্যু হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। চলে গেলেন বাংলা অভিনয় জগতের শেষ নক্ষত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। যখন অভিনেতা চোখ বন্ধ করলেন অন্যদিকে অশ্রু ঝরলো সারা বাংলার মানুষের।
রবিবার সৌমিত্রবাবুর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন কন্যা, তবে মুহূর্তেই নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন। বাবার শেষ কৃত্য সম্পন্ন করলেন মেয়ে পৌলমী৷ বাবার মৃত্যুর ৩দিন পর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলেন মেয়ে। গত মঙ্গলবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আত্মার শান্তিতে পুজো করলেন পৌলমী। দক্ষিণ কলকাতার এক মঠে হল সারলেন এই ধার্মিক আনুষ্ঠান। হিন্দু রীতি মেনে তিনদিনে বাবার পুজো করেছিলেন পৌলমী। এই অনুষ্ঠানে কেবলমাত্র সৌমিত্রবাবুর থিয়েটার গ্রুপের কাছের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ দেখতে দেখতে ১০দিন পার হয়ে গেল। আজ বড় ছেলে একটি মঠে বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সাড়লেন। কলকাতার গৌড়ীয় মঠে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী দীপা চট্টোপাধ্যায়, ছেলে সৌগত চট্টোপাধ্যায় এবং মেয়ে পৌলমী বোসের উপস্থিতিতেই সম্পন্ন হয় প্রয়াত অভিনেতার শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান । বাবার শেষকৃত্যে উপস্থিত না থাকলেও আজ ধূতি গেঞ্জি পড়ে উপোশ করে বাবাকে আত্মার শান্তির পূজো করলেন। হিন্দু ও কোভিড দুই নিয়ম মেনে আজ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলেন। স্ত্রী দীপা চোখে জল নিয়ে স্বামীর ছবিতে মালা পড়ালেন।
গতকাল অভিনেতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষ হলে বিকালে সিপিএম প্রার্থী বিমান বসু,সূর্যকান্ত মিশ্র,মহম্মদ সেলিম মুখে মাস্ক পড়ে হাজির হন অভিনেতার বাড়িতে পুরো পরিবারের সাথে দেখা করতে। এই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাজ যাতে আর্কাইভ করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করতেই চ্যাটার্জি বাড়িতে যান। প্রসঙ্গত, নাট্যদলের তরফে কিংবদন্তি অভিনেতার স্মৃতিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। রাজ্য সরকারের তরফেও সৌমিত্র স্মরণে একটি স্মরণসভা আয়োজিত করা হবে ।