Hoop Life

Skin Care Tips: যেতে হবেনা পার্লারে, সুন্দর হওয়ার হদিশ রয়েছে আপনার রান্নাঘরেই

আয়নার সামনে দাঁড়ালেই মনে হয় ত্বক একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ত্বকের এদিকে ওদিকে নানান রকম দাগ বেশী বিব্রত করে, মেকআপ দিয়ে আর কত ঢাকবেন? ত্বকের ওপরে একগাদা দাগ নিয়ে বাইরে বেরোতেও লজ্জা করে। কিন্তু দামী দামী মেকআপ কিনে হচ্ছেটা কি? কোন লাভই তো হচ্ছে না, আর প্রয়োজন নেই। দাগ শেষ হবে রান্নাঘরে থাকা কয়েকটা মশলার কামালেই, আপনি হয়ে উঠবেন অপরূপ সুন্দরী।

১) দারচিনি – রান্না ছাড়াও রূপচর্চায় দারচিনির ব্যবহার শুনলে আপনিও যাবেন চমকে যাবেন। চুল, ত্বক, সমস্ত কিছু সুন্দর করে দারচিনি। যাদের অকাল বার্ধক্যের সমস্যা রয়েছে তারা এক চিমটি দারচিনির সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটির মুখে ভালো করে লাগিয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক কত সুন্দর পরিষ্কার ঝকঝকে হয়ে গেছে। এক চিমটি দারচিনি পাউডারের সঙ্গে ভেসলিন খুব ভালো করে মিশিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন ঠোঁট কত সুন্দর নরম এবং গোলাপি হয়ে গেছে।

২) মৌরি – অনেক সময় শীত পড়ার পরপরই ত্বকে জ্বালা অনুভূত হতে পারে। সেক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণে মৌরি বেটে সেই জ্বালার ওপরে লাগিয়ে দিতে পারেন, কিংবা মৌরির জলকে বরফের ট্রে মধ্যে রেখে সেই বরফ লাগাতে পারেন, অথবা সকাল বেলা খালি পেটে মৌরির জল খেলে শরীর ভেতর থেকে মুক্ত হবে।

৩) জিরে – অকালবার্ধক্য দূর করতে সাহায্য করে জিরে। যদি রোজ ফুটিয়ে পান করা যায়, তাহলেই সহজেই শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়, অকাল বার্ধক্য দূর করবে। বেশি বয়সেও আপনার চামড়া এতটুকু কুঁচকাবে না, জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। সেক্ষেত্রেও আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল সুন্দর।

৪) জায়ফল – জায়ফল জ্বালা পোড়া কমাতে সাহায্য করে। যায় ফল অসাধারণ একটি অ্যান্টিসেপটিক জায়ফল। সামান্য পরিমাণে যদি ঘষে নিয়ে জল দিয়ে ব্রণের উপরে লাগানো যায় তাহলে ব্রণও কিন্তু বেশ কমে যায় কিংবা হঠাৎ করে কেটে যাওয়ার পরে যদি শুকোতে দেরি হয়, তাহলে যায় জায়ফলের পেস্ট লাগাতে পারেন।

৫) আদা- উজ্জ্বল এবং সতেজ ত্বকের জন্য আদা।
এই মশলাদার মূলে ত্বকের টোন উন্নত করার, দাগ দূর করে এবং বয়সের দাগ হালকা করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি অ্যান্টি-এজিং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান।

৬) হলুদ – নিয়মিত হলুদ লাগাতে পারেন ত্বকের উপরে। হলুদ ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের উপরে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে হলুদ ওই হলুদ যদি আপনি নিয়মিত সেবন করতে পারেন, আপনার শরীরের ভেতরে টক্সিন পরিষ্কার করতে পারে সাহায্য করে।

৭) কালো জিরে – কালোজিরে চুলের জন্য ভীষণ ভালো, নিয়মিত কালোজিরে খেতে পারেন অথবা কালোজিরে ফোটানো জল পান করতে পারেন। কালোজিরে পেস্ট করে মাথায় লাগাতে পারেন, এতে চুল অনেক সুন্দর কালো হয়। যাদের অকালে চুল পেকে গেছে তারা কালো জিরের পেস্ট লাগিয়ে চুলকে সুন্দর করতে পারেন।

৮) তেজপাতা – তেজপাতা ফোটানো জল পান করা শরীরের জন্য ভীষণ ভালো। এছাড়া তেজপাতা ফোটানো জল টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও তেজপাতা ফোটানো জল চুলে শ্যাম্পু করার পরে দিতেই পারেন, এতে চুল অনেক সুন্দর এবং সিল্কি হয়।

সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

Related Articles