গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। কিন্তু কয়েক মাস আগে শ্রাবন্তীর জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা পূর্ণ চিঠি বাড়িয়ে দিয়েছিল জল্পনা। এরপর থেকেই বোঝা যাচ্ছে না, শ্রাবন্তী আসলে কোন দলে! তবে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে শ্রাবন্তীকে। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের দেখা গেল শ্রাবন্তীর বাড়িতে আসতে।
এদিন শ্রাবন্তীর বাড়িতে পুজোর আয়োজন হয়েছিল। সেই পুজোতে দেখা মিলল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)-র। উপস্থিত ছিলেন শ্রাবন্তীর বর্তমান প্রেমিক অভিরূপ নাগচৌধুরী (Abhirup Nagchowdhury)। তবে সৌজন্য সাক্ষাৎ যে নয় তা একটি ঘটনার সূত্রেই বোঝা যাচ্ছে। এদিন সন্ধ্যার সময় মদনবাবুর কাছে আসে একটি ফোন কল। এই ফোন কলের কথোপকথন সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও এরপরেই মদনবাবুকে শ্রাবন্তীর বাড়ির পুজোয় দেখা যায়। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই শেয়ার করেছেন মদন মিত্র। সেগুলি যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে।
View this post on Instagram
তবে বিরোধী দলে থাকাকালীন মদনবাবুর সঙ্গে দোলপূর্ণিমার দিন রঙের উৎসবে মেতেছিলেন শ্রাবন্তী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা ঘটার ফলে শুরু হয় বিতর্ক। বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Ray) সেই সময় এই ঘটনা নিয়ে শ্রাবন্তীকে কটাক্ষ করেন।
কিন্তু মদনবাবুর সঙ্গে বন্ধুত্ব ও এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। শ্রাবন্তী কি তাহলে প্রথম থেকেই দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছিলেন? কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাঁটি বাংলার বুকে যথেষ্ট শক্তিশালী। এই মুহূর্তে তা ত্রিপুরার দিকেও ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলায় যদি আম আদমী পার্টির শাখা তৈরি হয়, তাহলে তাঁরাও সম্ভবত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করবেন। বেশ কয়েকটি স্থানে আম আদমী পার্টিতে যোগদানের পোস্টার দেওয়ালে সাঁটানো হয়েছে। সুতরাং বঙ্গ বিজেপি যতই প্রথম থেকে জেতার কথা বলে আসুন না কেন, কার্যতঃ তা অসম্ভব। এই কথা জেনেই কি শ্রাবন্তী বিজেপিতে থেকেও তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন? তবে যাই হোক না কেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে টলিউডেও বড় রকমের পট পরিবর্তন ঘটতে চলেছে, তা হলফ করে বলাই যায়।