Bengali SerialHoop Plus

Serial: টিভিতে সম্প্রচারের আগেই ফেসবুকে সিরিয়ালের পর্ব ফাঁস, বেলাগাম চুরির বিরুদ্ধে টেলিপাড়া

নব্বইয়ের দশক ও একবিংশ শতকের শুরুতে একের পর এক ফিল্মে ‘নো পাইরেসি’ মূলক সাবধানবাণী লেখা থাকত। একই সাথে ক্যাসেট, সিডির ক্ষেত্রেও ছিল একই নিয়ম। কিন্তু তা সত্ত্বেও কলকাতা সহ সমগ্র ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল পাইরেটেড সিডি, ডিভিডি। কারণ অনেকেই দামি সিডি বা ডিভিডি কিনতে পারতেন না। ফলে তাঁরা পাইরেটেড সিডি ও ডিভিডি কিনে বাড়িতেই গান শুনতেন, ফিল্ম দেখতেন। এই কারণেই একসময় ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হয় কলকাতার নামী বিপণি ‘মিউজিক ওয়ার্ল্ড’। অত্যন্ত সাড়ম্বরে উদ্বোধন হয়েছিল এই বিপণির। কিন্তু পাইরেটেড সিডি ও ডিভিডি বাজার দখল করে নেওয়ার ফলে ব্যবসায় প্রভূত লোকসান হতে থাকে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পার্ক স্ট্রিটের বুকে অবস্থিত ‘মিউজিক ওয়ার্ল্ড’। কিন্তু এই একই সমস্যা এবার দেখা গেল বাংলা টেলিভিশন সিরিয়ালের ক্ষেত্রেও।

ইদানিং সিরিয়ালের নতুন এপিসোড টিভিতে সম্প্রচারিত হওয়ার আগেই ওটিটির মাধ্যমে দেখে নিচ্ছেন অনেকে। ফলে প্রভাব পড়ছে সিরিয়ালের টিআরপি রেটিংয়ে। ওটিটির সাবস্ক্রিপশন মানুষের হাতের মুঠোয়। কিন্তু ওটিটি ছাড়াও নতুন পর্ব দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে। ফেসবুকে কয়েকটি পেজ রয়েছে। ওটিটিতে নতুন এপিসোড আপলোড হতেই ওই ফেসবুক পেজে তা চলে আসছে। ফলে দর্শকদের পক্ষে সুবিধাজনক হচ্ছে। তাঁরা আর টিভির সামনে বসে নির্ধারিত সময়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করছেন না।

এমনকি ওটিটির সাবস্ক্রিপশন নেওয়ারও প্রয়োজন বোধ করছেন না অনেকে। বহু কষ্ট করে অর্থ ব্যয় করে তৈরি এপিসোড বিনা পয়সায় ফেসবুকে আপলোড করার পর দর্শকরা দেখে নেওয়ার ফলে ওটিটি তথা প্রযোজকদের লোকসান হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly) জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব, এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নাহলে কলাকূশলীরা পাবেন না সঠিক মূল্যায়ন। ক্ষতি হয়ে যাবে বিনোদন জগতের।

Related Articles