টলি পাড়ায় শ্রাবন্তী মানেই এক দুষ্টু মিষ্টি অভিনেত্রী, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে তিনি চর্চিত অভিনেত্রী। তার অভিনয় নিয়ে যতটা না চর্চা হয় তার থেকে বেশি সমালোচিত হন ব্যাক্তিগত জীবনের নানান অধ্যায় নিয়ে। তিনি যাই করেন তাই চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। এই যেমন কিছুদিন আগে তার দিদির পুত্র সন্তান হল, এটা নিয়ে যেমন চর্চিত হন, তেমনই তার মালদ্বীপ ট্যুর বা রোশনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ বিষয় অথবা নতুন মনের মানুষ অভিরুপকে নিয়ে। একের পর এক সমালোচনা লেগেই থাকে এই সুন্দরীর পিছনে পিছনে।
সম্প্রতি অভিনেত্রী একটি কালো ড্রেসে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ তিনি। কোনো সমালোচনার পরোয়া না করেই নিজের জীবনের গল্প তুলে ধরেন। শ্রাবন্তী তার কালো ক্যাজুয়াল ড্রেসে, মেক আপ ছাড়াও যেন অনন্য সুন্দরী। নাহ, তার মেক আপ লাগে না। এমনিতেই শ্রাবন্তী টলিউডের অন্যতম সুন্দরী মিষ্টি অভিনেত্রী। তার রূপের ছটায় কাবু অনেকেই। তাকে অগ্রাহ্য করে কার সাধ্য।
সেই ১৯৯৭ সালে মায়ার বাঁধন দিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে শ্রাবন্তী তার বর্নালী জীবন শুরু করেন। এরপর, ২০০৩ এ চ্যাম্পিয়ন। ব্যাস তারপরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে যান সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া শ্রাবন্তী। ২০১৬ পর্যন্ত বৈবাহিক জীবনে থাকলেও পরবর্তীতে বেরিয়ে আসেন। কাজের জগতে ফেরেন। বাংলার দর্শকদের উপহার দেন ভালোবাসা ভালোবাসা, গয়নার বাক্স, অমানুষ, সেদিন দেখা হয়েছিল এবং আরো অন্যান্য মুভি। সদ্য, শ্রাবন্তী ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন। সেই সোহম এর সঙ্গেই জুটি বেঁধে করলেন দুজনে। সব মিলিয়ে শ্রাবন্তীর কেরিয়ার ঊর্ধ্বমুখীই।
View this post on Instagram
অভিনয় জগতে এগিয়ে থাকলেও রাজনৈতিক ও ব্যাক্তিগত জীবনে অনেকটা পিছিয়ে তিনি। সুখের সংসার করতে চেয়েও হয়নি। কারণ অজানা থাকলেও এই ব্যাপারে তিনি অনেকটা কম মার্কস পেয়েছেন বলা যেতে পারে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক ময়দানে যোগ দিয়ে গো হারা হেরেছেন। একুশের নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাড়িয়ে বেশ নিদারুণ ভাবে তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হারেন।