Hoop PlusTollywood

Sreelekha Mitra: মেয়ের জন্মদিনে ফের প্রাক্তন স্বামীর কাছাকাছি এলেন শ্রীলেখা!

একসময় প্রাচীনারা বলতেন, মা-বাবার মধ্যে সেতুবন্ধন করে তাঁদের সন্তান। এখনও দাম্পত্য সম্পর্কে অশান্তি দেখা দিলে অভিভাবকরা একটি সন্তান নিতে অনুরোধ করেন। এমনকি বহু দাম্পত্য সন্তানের জন্মের পর এক নতুন আলোর সন্ধান পেয়েছে। কিন্তু কলকাতার বুকে এমন কিছু দম্পতিও রয়েছেন যাঁরা বিবাহ বিচ্ছেদের পরও সন্তানের কারণে আবার একসাথে সময় কাটান। চলতি বছর পুজোর সময় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) ও তাঁর পুত্রসন্তান প্রণীল (Pranil)-এর সাথে একই ফ্রেমে ধরা পড়েছিলেন রচনার প্রাক্তন স্বামী প্রবাল (Prabal Basu)। তাঁরা সেপারেশনে থাকেন। কিন্তু আইনত বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)-র সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ কবেই হয়ে গিয়েছে শিলাদিত্য স্যান্যাল (Shiladitya Sanyal)-এর । এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা বলেছিলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও তিনি ও শিলাদিত্য এখনও খুব ভালো বন্ধু। এবার সেই বন্ধুত্বের এক ঝলক দেখা গেল তাঁদের একমাত্র কন্যা ঐশী (Oishi)-র সপ্তদশ জন্মদিনে।

গত 7 ই ডিসেম্বর সতের বছরে পদার্পণ করল ঐশী ওরফে শ্রীলেখার আদরের মাইয়া। কলকাতার একটি ক্যাফেতে ছোটখাট পার্টির আয়োজন করেছিলেন ঐশীর মা। সবুজ ড্রেসে সেজে উঠেছিল মিষ্টি ঐশী। তার জন্মদিনের পার্টিতে শ্রীলেখার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ঐশীর বাবা শিলাদিত্য। মেয়ের জন্মদিনে মা-বাবা দুজনেই সেজেছিলেন ক্যাজুয়াল পোশাকে। শিলাদিত্য পরেছিলেন হালকা নীল রঙের ডেনিম ও নীল কুর্তা। শ্রীলেখার পরনে ছিল ধূসর কূর্তি ও কালো ট্রাউজার।

জন্মদিনের সকালে ঐশীকে জন্ম দেওয়ার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলেন তার মা। প্রাকৃতিক উপায়ে তিনি জন্ম দিয়েছিলেন তাঁর মাইয়ার। শ্রীলেখা মাতৃত্বকে উপলব্ধি করতে চেয়েছিলেন। এমনকি ঐশীর জন্মের পাঁচ মিনিট পর তোলা একরত্তির ছবিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। জন্মদিনে মেয়েকে পছন্দের বই, পোশাক ও লিপস্টিক উপহার দিয়েছেন শ্রীলেখা। জমজমাট বার্থডে পার্টির বেশ কয়েকটি ছবিও শেয়ার করেছেন ইন্সটাগ্রামে ও ফেসবুকে। তবে সবচেয়ে বড় চমক ছিলেন শিলাদিত্য। মেয়ের সাথে মা-বাবা দুজনেই একসাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। জন্মদিনে মা-বাবাকে একসাথে পেয়ে ঐশীও উচ্ছ্বসিত।

উনিশ বছর আগে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন শ্রীলেখা ও শিলাদিত্য। 2003 সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তবে ঐশীকে দুজনে একসাথেই বড় করে তুলেছেন।

Related Articles