সপ্তাহের গোড়ায় যখন আন্তর্জাতিক কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল নিয়ে মগ্ন আপামর বাঙালি, সেই সময় হঠাৎই স্টুডিওপাড়া সরগরম শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)-র মা হওয়ার খবরে। মিডিয়ায় শিরোনাম “পুত্রসন্তানের জননী হলেন শ্রীলেখা”। খুব ভালো শিরোনাম। কিন্তু সমস্যা হল ‘জননী’ শব্দটির অর্থ তিনি জন্ম দেন গর্ভজাত সন্তানের। তবে ‘মা’ শব্দটি সার্বিক অর্থে সঠিক। পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন শ্রীলেখা। কিন্তু তাঁর এই পুত্রসন্তান দুই পেয়ে নয়, চার পেয়ে। শ্রীলেখা নিজেই এই সুখবর শেয়ার করে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে শুধুমাত্র মিষ্টি নয়, একটু দুষ্টুও। চিন্তা নেই, এই ছেলে দিনে দিনে আরও দুষ্টু হবে। কারণ ওকে ট্রেনিং দেবে নেকু, শ্রীলেখার আরও এক সন্তান। এই নেকুই কিছুদিন আগে ছিঁড়ে দিয়েছিল মায়ের আনা নতুন সোফা।
তবে এই চারপেয়ে সন্তান কিন্তু সারমেয় নয়। সে একজন হুলো বিড়াল। শ্রীলেখা আদর করে তার নাম দিয়েছেন ‘মিয়াঁ সাহেব’। এতদিন সে থাকত শ্রীলেখার অ্যাপার্টমেন্টের নিচে। বাড়ির সারমেয়দের পাশাপাশি শ্রীলেখা তাঁর বাইরের সন্তানগুলির যত্ন নেন। মিয়াঁকে তিনি রোজ খেতে দিতেন। কিন্তু একদিন অ্যাপার্টমেন্টের নিচে সারাদিন-রাত মিয়াঁ আটকে থাকলেও কেউ তাকে উদ্ধার করেননি। একরত্তি বিড়াল ছানা ভয়ে, ক্ষিদেয় রীতিমত বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে শ্রীলেখার চেষ্টায় উদ্ধার হয় মিয়াঁ। তাকে নিজের সাথে বাড়িতে নিয়ে আসেন অভিনেত্রী। আগে থেকেই শ্রীলেখার চার সারমেয়-সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমানে দুইজন মেনে নিয়েছে তাদের নতুন হুলো ভাইকে।
কিন্তু বাকি দুইজন এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না, তাদের থাকতে হবে বিড়ালের সাথে। অপরদিকে ছোট্ট মিয়াঁও তাদের ভয় পায়। প্রকৃতপক্ষে, যদি কোনো কুকুর শৈশব থেকে বিড়ালের সাথে বাস করে,তাহলে তাদের সখ্যতা তৈরি হয়। কিন্তু বড় হয়ে নতুন বিড়ালের সাথে মিশতে কষ্ট হয় সারমেয়র। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে যার পরিচয় দিয়েছে শ্রীলেখার দুই সারমেয়।
তবে শ্রীলেখা জানিয়েছেন, মা হয়ে সন্তানকে ফেলে দিতে পারবেন না তিনি। এখনও অবধি এই পৃথিবী মিয়াঁকে ভয় উপহার দিয়েছে। কিন্তু শ্রীলেখা তার চারপাশে গড়ে দিতে চান এক সুন্দর ফেয়ারি টেল।