গ্রীষ্মের দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। দিনের পর দিন গরম বেড়েই চলেছে। সকলেই চাতকের মতো এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকছেন। কষ্ট করে হলেও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র কিনে অনেকেই লাগাচ্ছেন ঘরে। তালিকায় অবশ্যই রয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। পরিবেশ দূষণের কথা তিনিও ভাবেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা ভাবার আগে নিজেকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন। ফলে তাঁর বাড়ি জুড়ে লাগানো রয়েছে চারটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। এছাড়াও তাঁর পরিবারে রয়েছে সারমেয়ে সন্তানরা। তাদের জন্যও বর্তমান সময়ের গরমে এসির প্রয়োজন হচ্ছে।
এগারো তলার ফ্ল্যাটে অনেকক্ষণ এসি চললেও এতদিন শ্রীলেখার কাছে পাঁচ-ছয় হাজার টাকার বেশি বিল আসেনি। কিন্তু এবার তাঁকে দশ হাজার টাকা অঙ্কের বিল পাঠানো হয়েছে যা শ্রীলেখার কাছে রীতিমত অস্বাভাবিক। এই ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, নিশ্চয়ই তাঁর বাড়িতে অনেকক্ষণ এসি চলে। কিন্তু তার মানে দশ হাজার টাকা বিল আসার ঘটনা মোটেও স্বাভাবিক নয়। ঠোঁটকাটা শ্রীলেখা বললেন, তাঁর কোনো বড়লোক বয়ফ্রেন্ড নেই যে এই টাকাটা তাঁকে দিয়ে যাবে। সিইএসসি-র কাছে অভিযোগ জানানোর কথা বলেছেন শ্রীলেখা।
অনেকে লিখেছেন, তাঁদের বিল এসেছে বারো হাজার টাকার কাছাকাছি। অনেকে লিখেছেন, চারটে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চললে এই ধরনের বিল আসা অস্বাভাবিক নয়। তবে সিইএসসি-র পাঠানো ইলেকট্রিসিটি বিল নিয়ে অভিযোগের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। অভিযোগের পর বিল যথাযথ না হলে কোম্পানির তরফে তা অ্যাডজাস্ট করা হচ্ছে আগামী বিলের সাথে। শ্রীলেখা সিইএসসি-তে অভিযোগ করলে এমনটাই ঘটার আশা রয়েছে।
কিছুদিন আগে তথাগত মুখোপাধ্যায় (Tathagata Mukherjee) পরিচালিত ফিল্ম ‘পারিয়া’-র শুটিং শেষ করেছেন শ্রীলেখা। নিজেও শর্ট ফিল্ম পরিচালনা করেছেন তিনি। তবে এবার আরও নতুন কিছু রয়েছে পরিচালক শ্রীলেখার ঝুলিতে। ফলে প্রযোজকের সন্ধানে রয়েছেন তিনি।
View this post on Instagram