হঠাৎই চলে গিয়েছেন অভিষেক চ্যাটার্জী (Abhishek Chatterjee)। আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাংলা ফিল্মে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করতে গিয়েও অসফল হয়েছিলেন। বহুদিন হাতে কাজ ছিল না। এরপর যাত্রায় অভিনয় শুরু করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই পুনরায় ফিরে এসেছিলেন ছোট পর্দায়। ‘খড়কুটো’-য় অভিষেকের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল।
বুধবার সকাল থেকেই অভিষেকের শরীর অসুস্থ ছিল। তার আগে দুই দিন ধরে বমি হয়েছিল। পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও অভিষেক চাননি হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে। ফলে বাড়িতেই তাঁকে স্যালাইন দিতে হয়। অসুস্থ শরীরেই শুটিংয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারেননি। উঠে দাঁড়ানোর শক্তি ছিল না শরীরে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন অভিষেক, কেউ ভাবতে পারেননি। বুধবার মধ্যরাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফলে মৃত্যু হয় অভিষেকের।
View this post on Instagram
একসময় তরুণ মজুমদার (Tarun Majumder)-এর ফিল্মের মাধ্যমে টলিউডে ডেবিউ করেছিলেন অভিষেক। একের পর এক সুপারহিট ফিল্ম দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। ‘লাঠি’, ‘দহন’-এর মতো ফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন অভিষেক। এমনকি পিছিয়ে থাকেননি টেলিভিশনেও। 2002 সালে অভিষেক অভিনীত টেলিফিল্ম ‘সেতু’ বাংলা টেলিভিশনে নয়া রেকর্ড গড়েছিল। এই টেলিফিল্মের টিআরপি ছিল 14, যা সেই সময় দাঁড়িয়ে ছিল এক বিস্ময়কর ঘটনা।
প্রভাত রায় (Prabhat Ray)-এর পরিচালনায় নির্মিত ‘সেতু’-র চিত্রনাট্যকার ছিলেন শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় (Shibashish Banerjee)। এই টেলিফিল্মে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিষেক। ধনী পরিবারের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। গরিব পরিবারের স্ত্রীকে পছন্দ ছিল না তার। সে সময় কাটাত প্রেমিকার সঙ্গে। কিন্তু একসময় সেই ধনী স্বামীকেই চাকরে পরিণত করেছিল তার স্ত্রী। কাহিনী অত্যন্ত পছন্দ হয়েছিল দর্শকদের। অভিষেক তৈরি করেছিলেন নতুন রেকর্ড। অভিষেক ছাড়াও এই টেলিফিল্মে অভিনয় করেছিলেন গার্গী রায়চৌধুরী (Gargi Roychowdhury), চান্দ্রেয়ী ঘোষ (Chandrayee Ghosh), দীপঙ্কর দে (Dipankar Dey) প্রমুখ।
View this post on Instagram