Indrani Haldar: রুমে ঢুকেই আমার জামাকাপড় খোলার চেষ্টা করেন প্রযোজক: ইন্দ্রানী হালদার
বিনোদন জগতের নিয়ন আলোর ঝলকানি সকলের চোখে পড়ে, কিন্তু আলোর পিছনের অন্ধকার তেমন একটা দৃশ্যমান হয়না। আর এমনই একটি বিষয় হল ‘কাস্টিং কাউচ্’। ফিল্মি দুনিয়ার তিক্ততার দস্তাবেজ লেখা থাকে নানা বদ্ধ কামরার অন্ধকারে। এর শিকার হতে হয় বেশিরভাগ অভিনেত্রীদের। পরিচালক বা প্রযোজকদের শয্যাসঙ্গিনী হতে পারলেই সাফল্য আসে আলোর গতিতে, এই কথা যেন চিরন্তন সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বি-টাউনের আঙিনায়। এই সত্য ঘটনা আগে চাপা থাকত। কিন্তু বর্তমানে ‘মি টু মুভমেন্ট’-এর সুবাদে একের পর এক তিক্ত ঘটনা সামনে এসেছে।
এবার এমনই এক ঘটনার কথা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার (Indrani Haldar)। মুম্বইয়ের একটি ঘটনা বলতে গিয়ে গলা কেঁপে এল অভিনেত্রীর। কি এই ঘটনা? দেখুন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের মুখে এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী। মুম্বইয়ে এক প্রযোজক তার সঙ্গে বলপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। ইন্দ্রানী হালদার বলেন, “তখন আমার বয়স ২০। আমার সঙ্গে শুটিংয়ে মা-বাবাও যেতেন। শুটিংয়ে প্রথম শিডিউলে আমার মা গিয়েছিলেন। দু’জনকে ভাল হোটেলে রাখা হয়। কিন্তু সমস্যাটা হয় দ্বিতীয় শিডিউলে। সেই সময় আমার সঙ্গে বাবার যাওয়ার কথা। আমার টিকিটটা সকালে কাটা হল। আর বাবারটা বিকেলে। শুধু তাই নয়, এ বারে যে হোটেলে আমাদের থাকতে দেওয়া হয়েছিল সেটা দেখেই মনে সন্দেহ দানা বাঁধে।”
এরপর কাঁপা গলায় ইন্দ্রানী হালদার বলেন, “যে দিন আমরা মুম্বই পৌঁছই, সে দিন আমার কোনও কাজই ছিল না। আচমকাই দুপুরে প্রযোজক ফোন করে বলেন দুপুরে আমার সঙ্গে কথা বলতে আসবেন। তা শুনেই আমি ঘাবড়ে যাই। বুঝতে পারছিলাম না, কেন উনি আসছেন। তার পর সময় গড়াতেই সবটা স্পষ্ট হল। উনি রুমে ঢুকেই আমার সঙ্গে অসভ্যতা করার চেষ্টা করেন। নিজের জামাকাপড় খোলার চেষ্টা করেন। আমার হাত ধরেও টানাটানি শুরু করেন। এক মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছিল, আমায় ধর্ষিতা হতে হবে? হাত-পা সহায় ছিল। সেই যাত্রায় প্রযোজকের স্ত্রীর ফোন আমায় বাঁচিয়ে নেয়। তবে সেই প্রযোজক বলেছিলেন, আমার জীবনে কখনও উন্নতি হবে না। বড় বড় নায়িকা আপস করতে দু’মিনিটও ভাবেন না। কিন্তু আমি কখনও আপস করতে রাজি ছিলাম না।”
প্রসঙ্গত, ৩৪ বছর অভিনয়ের জগতে রয়েছেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার। অভিনয়ের অভিজ্ঞতা তার যথেষ্ট রয়েছে। তবে এর মাঝে এই তিক্ততা যেন তিনি এতদিন পরেও ভুলতে পারেননি। শত আলোকময় স্মৃতির মাঝেও চাপা পড়েনি এই অন্ধকার তিক্ত স্মৃতি।