‘কিন্তু প্রিয় পুরুষ আছেন। আমার বাবা সন্তোষ মিত্র। যিনি সদ্য আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আমার মনে হয়, সব মেয়েরই প্রিয়তম পুরুষ বোধহয় তার বাবা। তাই যাঁরা বিবাহ-বিচ্ছিন্ন তাঁদের প্রতি অনুরোধ, আপনাদের মধ্যে ঝগড়া থাক। সন্তানকে তার বাবার থেকে আলাদা করবেন না। এতে মানুষকে ভালবাসার ভিত আলগা হয়ে যায়।’ ঠিক এরকম কথা শ্রীলেখা বলেছিলেন এক সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে। পুরুষ দিবস উপলক্ষে তিনি বাবা ও স্বামীর প্রতি কোনো রকম ক্লেশ বা বিয়োগ দুঃখ না রেখে একটা সমতা বজায় রেখে নিজের স্পিচ দিয়েছিলেন। অভিনেত্রীর চিন্তায় একটি মেয়ের জীবনের প্রথম হিরো হল তারা বাবা, তাই বিচ্ছেদ হলেও বাবার থেকে মেয়েকে আলাদা করা উচিত নয়। যাইহোক, আজকের প্রসঙ্গে আমরা শ্রীলেখার বাবা ও স্বামীর স্মৃতি নিয়ে আরো একবার নাড়াচাড়া করবো, কিন্তু তারও আগে জেনে নিই শ্রীলেখার চলতি সময়ের টুকরো টুকরো স্পেশ্যাল ঘটনার কথা।
কখনো শ্রীলেখা সারমেয়দের পড়ালেন হোম সায়েন্স! মেয়েকে পড়ানোর সময় সেই ফাঁকে পোষ্যদের বসিয়ে একটু টিচার টিচার মুড তৈরি করে নেন।কখনো তিনি মানিকে মাগে হিতে গানে নাচ করছেন, তো কখনো নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্টে পোষ্য সারমেয়দের নিয়ে বাকযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনো আবার সিগারেট ছাড়বেন বলে কঠিন প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে ‘অভিযাত্রিক’ ছবির ‘রাণুদি’ অর্থাৎ শ্রীলেখা এখন বিনোদন সংক্রান্ত খবরের পাতায় পাতায় থাকেন।
সম্প্রতি নিজের বিয়ের ছবি পোস্ট করলেন অভিনেত্রী। যেখানে তিনি তার বিয়ের দিনের কথা যেমন উল্লেখ্য করেন তেমনই বাবার জন্মদিনের কথা বলেন। ২০ নভেম্বর হল এমন এক বিশেষ দিন, যেদিন তার জীবনে স্বামী শিলাদিত্য আসেন এবং পরবর্তীতে প্রেম বিদায় নেয়, অন্যদিকে বাবার জন্মদিন ছিল, যিনি চলতি বছরে প্রয়াত হন। সব মিলিয়ে ব্যথা যন্ত্রণা ও ফেলে আসা স্মৃতি উস্কে দিলেন শ্রীলেখা নিজের পোস্ট ঘিরে।
View this post on Instagram
২০০৩ সালে ২০ নভেম্বর বিয়ে করেন তিনি। শিলাদিত্য সান্যালের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। তবে ২০১৩ সালে স্বামী শিলাদিত্যের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। এতবছর বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক একেবারেই খারাপ নয়। প্রসঙ্গত, শ্রীলেখা-শিলাদিত্যের মেয়ে ঐশী শ্রীলেখার সাথেই থাকেন।