Sridevi: মাত্র ১৩ বছর বয়সে মা হয়েছিলেন শ্রীদেবী!
শ্রীদেবী (Sridevi) কবেই চলে গিয়েছেন নক্ষত্রলোকে। কিন্তু তাঁর কাজ অমর হয়ে রয়েছে। অমলিন তাঁর স্মৃতি। শিশুশিল্পী হিসাবে দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ করেছিলেন শ্রীদেবী। শৈশব কাকে বলে কোনোদিন জানতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। অর্থ উপার্জনের মেশিনে পরিণত হয়েছিলেন শ্রীদেবী। জীবনের একটা স্তর অবধি শ্রীদেবীর মা তাঁর কেরিয়ারের প্রত্যেকটি কাজের সিদ্ধান্ত নিতেন। এমনকি শ্রীদেবীর পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতেন তিনিই। এই কারণেই প্রায় কিছুটা বাধ্য হয়েই মাত্র তের বছর বয়সে দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত (Rajnikanth)-এর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছিল শ্রীদেবীকে।
1976 সালে তামিল ফিল্ম ‘মুন্দ্রু মুডিচু’-তে মাত্র তের বছর বয়সে শ্রীদেবীকে এক বৃদ্ধ ব্যক্তির পঁচিশ বছর বয়সী স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করতে হয়েছিল। ফিল্মে শ্রীদেবী অভিনীত চরিত্রের সৎ ছেলের ভূমিকায় ছিলেন তাঁর দ্বিগুণ বয়সী রজনীকান্ত। এই ফিল্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কমল হাসান (Kamal Hasan)-ও। শ্রীদেবী অভিনীত এই ধরনের চরিত্রগুলিকে এখনও অবধি টিন-অ্যাডাল্ট বলেই অভিহিত করা হয়। একজন টিনএজার অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে পূর্ণ বয়স্ক চরিত্রে অভিনয় করানোর কারণে ‘টিন-অ্যাডাল্ট’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। তবে সেই সময় শুধুমাত্র শ্রীদেবীই নন, বহু অভিনেত্রীই অভিনয় করেছেন টিন-অ্যাডাল্ট চরিত্রে। দক্ষিণী ফিল্ম ছাড়াও বলিউড ও বাংলাতেও অল্প বয়সী অভিনেত্রীরা এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতেন। কিন্তু সময় বদলেছে। ফলে অনেকেই এই ধরনের চরিত্রে অভিনয়কে সঠিক বলে মনে করেন না।
View this post on Instagram
একের পর এক হিট ফিল্ম উপহার দিলেও বিয়ের পর একরকম অন্তরালেই চলে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর ফিরে এসেছিলেন ‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এর মাধ্যমে। ‘মম’ ছিল তাঁর শেষ ফিল্ম। অনেকগুলি ফিল্মের প্রস্তাব এসেছিল শ্রীদেবীর কাছে। কিন্তু একটা দূর্ঘটনা বদলে দিয়েছিল সব হিসাব।
2018 সালের 24 শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে দুবাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলের বাথরুমের বাথটাবের জলে শ্রীদেবীর ডুবন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা যায়, বাথটাবের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও শ্রীদেবীর পরিবার ও বলিউডের কাছে আজও এই মৃত্যুর কারণ রহস্যাবৃত। দুবাইয়ে পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। সাথে ছিলেন তাঁর স্বামী বনি কাপুর (Boni Kapoor) ও কনিষ্ঠ কন্যা খুশি (Khushi Kapoor)। জ্যেষ্ঠ কন্যা জাহ্নবী (Janhvi Kapoor) মুম্বইয়ে ছিলেন তাঁর ডেবিউ ফিল্ম ‘ধড়ক’-এর শুটিংয়ের কারণে। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে বনি ও খুশি ফিরে এসেছিলেন মুম্বইয়ে। নিজের আঁকা ছবির প্রদর্শনীর জন্য দুবাইতে রয়ে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। কিন্তু বনি তাঁকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য আবারও দুবাইতে ফিরে আসেন। তিনি শ্রীদেবীর হোটেল রুমে দীর্ঘক্ষণ নক করার পরও শ্রীদেবী দরজা না খোলায় হোটেলের কর্মীদের খবর দেন। এরপর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে হোটেলের বাথরুমের বাথটাবের জলে মেলে শ্রীদেবীর মৃতদেহ।
View this post on Instagram