আশির দশকে একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন পদ্মিনী কোলাপুরী। তিনি তার সফল কর্মজীবনে তিনি দুইটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয় করে চলচ্চিত্র ‘ ইনসাফ কা তারায়ু’। এরপর মুক্তি পায় ‘প্রেম রোগ ‘, তখন তিনি মাত্র ১৭। খুব কম সময়ের মধ্যে হিট সিনেমা উপহার দেন পদ্মিনী। কিন্তু এরপরেও তার আফসোসের শেষ নেই। কিসের আফসোস তার?
এয়ারলাইন্সের চাকরি ছেড়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন পদ্মিনী। একটা সময় অতীতে তাঁর ছেড়ে দেওয়া একাধিক ছবি গিয়ে পড়েছিল রেখা, শ্রীদেবী এবং রতি অগ্নিহোত্রীর মতো অভিনেত্রীদের ঝুলিতে। যদিও ওই ছবিগুলো সুপার ডুপার হিট হয়। কিন্তু পদ্মিনীর আফসোস রয়েই যায়।
জানা যায়, ‘রাম তেরী গঙ্গা মৈলী’ ছবিতে প্রথমে পদ্মিনীকে নায়িকা হিসেবে চেয়েছিলেন পরিচালক রাজ কাপুর। কিন্তু তার প্রত্যাখ্যান গিয়ে চলে যায় মন্দাকিনীর কাছে। ওই সিনেমায় চুম্বন দৃশ্য ছিল বলে তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে যখন ওই সিনেমা সুপার হিট হয় তখন নিজেই নিজের কপাল চাপড়ান।
এখানেই সিনেমা প্রত্যাখ্যানের লিস্ট শেষ নয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পদ্মিনী তার কর্মজীবনের অজানা অধ্যায়ের গল্প শোনালেন। তার কথায়, ‘এক দুজে কে লিয়ে’ ছবিতে রতি অগ্নিহোত্রী, ‘সিলসিলা’ ছবিতে রেখার এবং ‘তোফা’ ছবিতে শ্রীদেবীর চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব তিনি প্রথমে পেয়েছিলেন। সবই তিনি ফিরিয়ে দেন। এবং পরবর্তীতে ওই ছবিগুলো হিটের তালিকায় জায়গা করে নেন। এমনকি বক্স অফিসে ‘রাম তেরী গঙ্গা মৈলী’ ভালো ব্যবসা করায় সেই ছবি প্রত্যাখ্যানের আফসোস থেকে যায় পদ্মিনীর মনে।