নামমাত্র মূলধনে ভরবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, এই এক গাছেই হবে লক্ষ্মীলাভ
অর্থ যে সকলেরই প্রয়োজন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। জীবনে চলার পথে অর্থ দরকার হয় প্রতি পদেই। আর এর জন্য কেউ কেউ চাকরি করেন, কেউ আবার ব্যবসা (Business Plan) করেন। এখন অনেকেই ছোট বড় ব্যবসার কাজে নিজেকে যুক্ত করছেন। এই প্রতিবেদনে থাকছে এমনি এক সহজ উপায় যার মাধ্যমে কম মূলধনে মোটা টাকা উপার্জন করা সম্ভব। সমস্ত তথ্য জানতে এই প্রতিবেদনটি পুরোটা পড়ুন।
সুপারি চাষ করেই মোটা টাকা আয় করছেন অনেকে। সুপারি চাষের পাশাপাশি এখন বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে সুপারি গাছের চারাও বিক্রি করছেন আলিপুরদুয়ারের কয়েকজন যুবক। বাড়িতে ছোট নার্সারিও তৈরি করে আয় করছেন অনেকে। সুপারি চাষ করা যেমন সহজ, তেমন কম সময়ের মধ্যেই পাওয়া যায় ফল। কীভাবে করবেন সুপারি চাষ? এই প্রতিবেদনে রইল যাবতীয় তথ্য।
বর্ষাকালে পুঁততে হয় সুপারির বীজ। কাদাযুক্ত নয়, এমন মাটিতে ৩ মিটার দূরত্ব রেখে গর্ত করতে হয়। তার মধ্যে গাছ লাগিয়ে করতে হয় সুপারির বাগান। সুপারি গাছ যদি অন্য গাছপালার মাঝে বা ছায়ার মধ্যে লাগানো যায় তাহলে তা ভালো হয়। সুপারি গাছ রোদের মধ্যে বাঁচতে পারে না। চারা লাগানোর পর ৬-৭ বছরের মধ্যে আসে প্রথম ফল। অক্টোবর মাস থেকে সুপারি গাছের ফল ধরা শুরু হয় আর তা কাটা হয় ফেব্রুয়ারি মাসে।
আলিপুরদুয়ারের কিছু যুবক সুপারির চারা বিক্রি করছেন বিগত ছয় বছর ধরে। চারা তৈরিতে ব্যবহার হয় পাকা ফল। তাই ছায়াযুক্ত জমিতে রোপণ করা হয় চারা। পাঁচদিনে গাছ বের হয়। কিছুটা বড় হলে চারাগাছ হিসেবে বিক্রি করা হয়। যুবকরা বলেন, এক একটি চারাগাছ বিক্রি করা হয় ৫০-৬০ টাকায়। সুপারি গাছের ফল বিক্রি করে লাভের পাশাপাশি সুপারি গাছের নার্সারি থেকেও অর্থ উপার্জন করা হচ্ছে। বিকল্প আয় হিসেবে ধরা হচ্ছে একে।